শুরুতেই ২৭ রানে নেই চার উইকেট। এই দল প্রথম ইনিংসে দুই শ’ অতিক্রম করবে, এমন ভাবনার লোকই পাওয়া যায়নি। কিন্তু করাচিতে পাকিস্তান যা করে দেখালো, তা সত্যিই বিস্ময়কর। দুই শ’ নয়, প্রবল প্রতিরোধ আর নান্দনিক ব্যাটিংয়ে প্রায় চার শ’র কাছাকাছি রান নিয়ে গেল দলটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে করাচি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৭৮ রান করেছে স্বাগতিক পাকিস্তান।
বুধবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেটে ৩০৮ রান। সেঞ্চুরি করেন ফাওয়াদ আলম। তার দেখানো পথে হাটলেন টেল এন্ডাররাও। বৃহস্পতিবার ম্যাচের তৃতীয় দিনে নিখাদ বোলাররাও হয়ে উঠলেন ব্যাটসম্যান। পাকিস্তান পেল দারুণ ইনিংসের দেখা।
আগের দিন ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন হাসান আলী ১১ ও নোমান আলী ৬। শেষ অবধি হাসান আলী সাজঘরে ফেরেন ২১ রানে। নোমান আলী করেন ২৪ রান। বড় চমকটা দেখিয়েছেন স্পিনার ইয়াসির শাহ। ৩৭ বলে তিনি খেলেন ৩৮ রানের ওয়ানডে স্টাইলের ইনিংস। ছোট্ট ইনিংসে ইয়াসির হাকিয়েছেন চারটি চার ও একটি ছক্কা।
আগের দিন পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৯ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন ফাওয়াদ আলম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন ফাহিম আশরাফ। ৫১ রান করেন আজহার আলী। বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে রাবাদা ও মাহরাজ তিনটি, নরজে ও লুঙ্গি দুটি করে উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসে ২২০ রানে অল আউট হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ইনিংসে এই প্রতিবেদন লেখা অবধি প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪৮ রান।