spot_img

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুমানা

অবশ্যই পরুন

হোয়াইট হাউজে ফের জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুমানা আহমেদ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শপথ গ্রহণের পর তিনি আবারও হোয়াইট হাউজে ফিরেন । এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের আমলেও হোয়াইট হাউজে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে তিনি ছিলন। কিন্তু রুমানা মুসলিম হওয়ায় হিজাব পড়ার জন্য অপদস্থ হতে হতো থাকে। এ কারণে পদ থেকে পদত্যাগ করেন রুমানা আহমেদ। বাইডেন ক্ষমতায় এসে তাকে ফিরিয়ে আনেন।

সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুমানা আহমেদের একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। ছবিটি দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে নিজের জায়গায় ফিরে আসতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত রুমানা আহমেদ। এর আগে হিজাবের কারণে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টিমে টিকতে পারেননি। যোগ্যতা থাকলে একজন মানুষকে আটকিয়ে রাখা যায় না, তারই প্রমাণ দিয়েছেন রুমানা। তাই তো ফের ফিরে এসে ইতোমধ্যে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়ার (ইউএসএজিম) রিভিউ প্যানেলের সাত সদস্যের অংশ হয়ে কাজ শুরু করেছেন।

রুমানা আহমেদ মুসলিম হওয়ায় হিজাব পরেন। হিজাব পরায় ট্রাম্পের লোকজনের কাছে প্রায়ই অপদস্থ হতেন। তাকে কেউই স্বাভাবিকভাবে নিতে পারত না। ২০১৭ সালে পদত্যাগের নেপথ্য এই কারণগুলো জানিয়ে দ্য আটলান্টিকে একটি কলাম লেখেন রুমানা। ওই লেখা প্রকাশিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।

রুমানার বাবা ১৯৭৮ সালে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান। তার মা দেশটিতে একটি দোকানে ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে নিজের উদ্যোগে একটি ডে-কেয়ার সেন্টার চালু করেন। বাবা ব্যাংক অব আমেরিকায় লেটনাইট কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। পরে একটি শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রমোশন পান। রুমানার বাবার স্বপ্ন ছিল পিএইচডি করবেন। কিন্তু ১৯৯৫ সালে তার সেই স্বপ্ন থেমে যায়। সড়ক দুর্ঘটনায় একটি গাড়ি তার বাবার মৃত্যু হয়।

রুমানা জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনে যোগ দেন। ওবামার আমলে দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলে কাজ করতে থাকেন। তবে ওবামা ক্ষমতা ছাড়লে হোয়াইট হাউজে তার অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ে। সপ্তাহ পার হতে না হতে তাকে চাকরি ছেড়ে দিতে হয়।

রুমানা বলেন, ট্রাম্প যখন সাতটি মুসলিম-প্রধান দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন, তখনই বুঝে যাই আমার আর সময় নেই। ভাবতে থাকি, এমন একটা প্রশাসনে কাজ করি, যারা আমাকে অধীনস্থ নাগরিক মনে করে, হুমকি হিসেবে দেখে। আমি ১২ বছর বয়স থেকে হিজাব ব্যবহার শুরু করি। পরিবার আমাকে উৎসাহিত করলেও এটা আমার নিজেরই পছন্দ ছিল। এটা ছিল আমার বিশ্বাসের, সত্তার এবং সহনশীলতার প্রতীক। রুমানা এত বঞ্চনা সহ্য করতে পারতেন বাবার শেখানো ইসলামিক বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে। তার বাবা বাংলায় বলতেন, কেউ যখন তোমাকে ফেলে দেবে, উঠে দাঁড়াবে। দুহাত মেলে তাকে ভাই বলে ডাকবে।

সর্বশেষ সংবাদ

কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না নয়: আইজিপি

পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাসমূহ যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ