spot_img

ভবিষ্যৎ মহামারি প্রতিরোধের কৌশল তুলে ধরলেন বিল গেটস

অবশ্যই পরুন

আগামীর মহামারি প্রতিরোধে এক উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা সুপারিশ করেছেন বিলিয়নিয়ার সমাজসেবী বিল গেটস। যার আওতায় থাকবে; বৈশ্বিক সতর্কতা ব্যবস্থা, গণহারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং জরুরি তলবে সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দিতে পারবেন, এমন তিন হাজার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের একটি টিম। পাশাপাশি প্রস্তুতির নানা খাতে বার্ষিক হাজার কোটি ডলার খরচের কথাও বলেছেন।

দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেহে টিকা সরবরাহ নিয়ে চলমান মহামারির আগে থেকেই সোচ্চার ছিলেন বিল গেটস। এজন্য বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন পরিচালিত গ্যাভি জোট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করে। এছাড়া, তিনি কোনো নতুন জীবাণুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়া মাত্রই- তা নির্মূল বা নিয়ন্ত্রণ করার তাগিদ দিয়ে এসেছেন।

আজ বুধবার তিনি নিজ দাতব্য সংস্থার হয়ে লেখা এক বার্ষিক চিঠিতে জানান, “গেল বছর বিশ্ববাসী মহামারির কারণে চরম দুর্দশার মধ্য দিয়ে গেছে। আগামীতে যেন আবার এমনটা না হয়; সেজন্য যুদ্ধের মতো জরুরি অবস্থা ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। এবার বিশ্ব কোভিড-১৯ অতিমারির জন্যে একেবারেই প্রস্তুত ছিল না। তবে আমি আশা করছি, পরের বার যথাযথ প্রস্তুতি থাকবে।”

চিঠিটির সহ-লেখক ছিলেন তার স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস।

বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন ১০ কোটি মানুষকে আক্রান্ত করা চলমান মহামারির গতিরোধে কাজ করছে। আবার পরবর্তী মহামারির নিয়ন্ত্রণও সংস্থাটির উদ্দেশ্য। কিন্তু, একাজে প্রধান বাধা ধনী দেশগুলোর টিকার বাড়তি ডোজ কিনে রাখা। তারা জোরেশোরে টিকাদান চালিয়ে গেলেও, স্বল্পোন্নত দেশগুলো কবে টিকা পাবে- তা নিয়ে রয়েছে গভীর অনিশ্চয়তা।

এজন্য পরবর্তী মহামারি হানা দেওয়ার আগেই বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিল গেটস এমন একটি মেগা-ডায়াগনোস্টিক প্ল্যাটফর্ম চান; যার মাধ্যমে এক সপ্তাহে বৈশ্বিক জনসংখ্যার ২০ শতাংশকে টেস্ট করা যাবে। উচ্চাভিলাষী প্রকল্পটির ব্যাপারে তিনি বলেন, “পৃথিবীকে সুরক্ষিত রাখার খরচ অনেক বেশি মনে হতে পারে। কিন্তু, কোভিডের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি হয়েছে ২৮ লাখ কোটি ডলার, সেই তুলনায় এ খরচ কিছুই নয়। লাখ কোটি ক্ষতি এড়াতে বিশ্বকে শত শত কোটি ডলার খরচ করতেই হবে।

টিকা তৈরির নতুন ম্যাসেঞ্জার আরএনএ প্রযুক্তি নিয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিল। কোভিডের মতো অন্যান্য রোগের বিরুদ্ধেও আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই এ প্রযুক্তির সহায়তায় উন্নততর ভ্যাকসিন তৈরি করা যাবে, বলে ধারনা করছেন তিনি।

তার মতে, প্রযুক্তিটি এইচআইভি, টিবি এবং ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নতুন দিগন্ত যোগ করতে পারে। কোভিডের বিরুদ্ধে এ প্রযুক্তির সাহায্যে আরও উন্নত টিকা তৈরির জন্য গেটস ফাউন্ডেশন ১৭৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে, বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

তার স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস লিখেছেন, আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ ‘টিকা নিয়ে বৈষম্য’। এই বৈষম্য শুধু ধনী ও প্রভাবশালীদের জন্যে টিকার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করে।

মেলিন্ডা বলেন, “সবাইকে টিকার আওতায় না আনা গেলে, গুচ্ছ সংক্রমণের নতুন নতুন ঘটনা দেখা দিতেই থাকবে। সেখানে থেকে তা আবার পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। আবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিস-আদালত বন্ধ করতে হবে। কিন্তু, তাতে বৈষম্যের চক্রটি দূর হবে না।”

সূত্র: ব্লুমবার্গ

সর্বশেষ সংবাদ

অধিনায়কের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ জোসেফ

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক শাই হোপের সঙ্গে ফিল্ডিং সাজানো নিয়ে মতের অমিল হওয়ায়...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ