আনন্দের যেন শেষ নেই মেহেদী হাসান মিরাজের! দলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার মিশনে তিন ওয়ানডেতেই একাদশে জায়গা হয়েছে তার। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা ডানহাতি এই অফ স্পিনার তিন ম্যাচে নিয়েছেন সাত উইকেট। রান খরচাতেও ছিলেন কৃপণ (ওভার প্রতি ২.৭০)। সিরিজ শেষ হতেই দারুণ বোলিংয়ের পুরস্কার পেয়ে গেছেন মিরাজ।
আইসিসির ওয়ানডে বোলার র্যাঙ্কিংয়ে বড় উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের তরুণ এই স্পিনারের। ৯ ধাপ এগিয়ে চার নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি। যা মিরাজের ক্যারিয়ার সেরা র্যাঙ্কিং। সব কিছুই যেন মনমতো হচ্ছে তার। অথচ দলে থাকা নিয়েই অনিশ্চয়তায় ছিলেন তিনি। সিরিজ শেষে সেই মিরাজই প্রাদপ্রদীপের আলোয়।
সবকিছু স্বপ্ন মনে হতেই পারে তার কাছে। তাই তো র্যাঙ্কিংয়ে নিজের অবস্থানের কথা শুনে মিরাজ জানালেন, এমন কিছু চিন্তাতেও আসেনি তার, ‘খুব ভালো লাগছে। আমি আসলে চিন্তাও করতে পারিনি সেরা পাঁচে থাকতে থাকব। আল্লাহর অশেষ রহমতে খুব ভালোই লাগছে যখন শুনতে পেরেছি। সতীর্থরা উইশ করেছে, খুব ভালো লাগছে।’
টেস্ট অভিষেকেই হইচই ফেলে দিয়েছিলেন মিরাজ। তার স্পিন ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে ওঠা ইংল্যান্ড চারদিনেই টেস্ট হেরেছিল। দুই টেস্টে ১৯ উইকেট নিয়ে সাদা পোশাকে বাংলাদেশ দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠলেও মিরাজের চোখ ছিল সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটেও।
সেভাবেই নিজেকে তৈরি করে এসেছেন জানিয়ে মিরাজ বলেন, ‘যখন আমি টেস্ট ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি, আমার চিন্তা ছিল যে শুধু আমি লাল বলেই খেলব না, সাদা বলেও খেলব। আমি ওইভাবে মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছি। চেষ্টা করেছি ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে হলে কীভাবে ভালো করতে হবে এবং আমার কোন কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে।’
‘চিন্তা করেছি ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে হলে আমার বোলিং ইকোনমিটা ঠিক রাখতে হবে এবং ব্রেক থ্রু দিতে হবে মাঝে মধ্যে যখন টিমের প্রয়োজন হয়। ওইটা নিয়েই চেষ্টা করছি এবং আমি যখন বোলিং করি চেষ্টা করি দলের প্রয়োজনে ইকোনমিটা ঠিক রাখার জন্য। যদি টিমের প্রয়োজন হয় ব্রেক থ্রু এনে দেওয়ার জন্য, এটাই আমি সব সময় চেষ্টা করি।’ যোগ করেন তিনি।
র্যাঙ্কিংয়ে মুস্তাফিজুর রহমান এগিয়েছেন ১১ ধাপ। বাঁহাতি এই পেসার উঠে এসেছেন ৮ নম্বরে। সতীর্থ্যের সাফল্যেও দারুণ উচ্ছ্বসিত মিরাজ। বাংলাদেশ স্পিনার বলেন, ‘সবার জন্য এটা অনেক ভালো জিনিস, মুস্তাফিজ সেরা দশে আছে। মুস্তাফিজ বিশ্বমানের বোলার, ও ওয়ানডেতে দেশকে অনেক অনেক জয় এনে দিয়েছে। ওর জন্য এ রকম একটা জিনিস দরকার ছিল।’