প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সময়মতো ভ্যাকসিন কিনতে পেরেছি, আনতে পেরেছি। আশা করছি আল্লাহর রহমতে আমরা এর মাধ্যমে দেশের মানুষকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণ করা আমাদের কর্তব্য। আমরা চেষ্টা করি মানুষের সেবা করে যেতে।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনার টিকা প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সুষ্ঠুভাবে করোনার টিকা দেওয়ার সব ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী আমরা ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ পাবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ভ্যাকসিন আনার জন্য চুক্তি করেছি। আমরা ভ্যাকসিন প্রয়োগের যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি। আমাদের দুর্ভাগ্য কিছু কিছু মানুষ থাকে যারা সবকিছুতেই নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। তারা মানুষকে সাহায্য করে না, উল্টো ভয়ভীতি ঢুকানোর চেষ্টা। তারা ‘সবকিছু ভালো লাগে না’ রোগে ভোগে।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন আসবে কী আসবে না? দাম বেশি হলো কেন? দিলে কী হবে-তারা এসব কথা বলে। তবে তাদের ধন্যবাদ, তারা যত সমালোচনা করেছে আমরা তত দ্রুত কাজ করার অনুপ্রেরণা পেয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সময়মতো ভ্যাকসিন কিনতে পেরেছি, আনতে পেরেছি। আশা করছি আল্লাহর রহমতে আমরা এর মাধ্যমে দেশের মানুষকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবো। মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণ করা আমাদের কর্তব্য। আমরা চেষ্টা করি মানুষের সেবা করে যেতে।
বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী টিকা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
টিকা নেয়ার আগে নার্স রুনু বেরুনিকা কস্তাকে (দেশের প্রথম ভ্যাকসিন গ্রহণকারী) প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমার ভয় লাগছে না তো?’ উত্তরে রুনু ‘না’ বললে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুব সাহসী তুমি। তোমার জন্য শুভ কামনা। তুমি আরও বেশি করে রোগীদের সেবার করো।’
এরপর একে একে আরও চারজন ভ্যাকসিন নেন। ভ্যাকসিন নেবার পরে তারা ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক৷ সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন।
এর আগে অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ এখনও করোনার ভ্যাকসিন না পেলেও বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পেয়েছে। এজন্য তিনি বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
এদিন রুনু ছাড়া ভ্যাকসিন নিয়েছেন- চিকিৎসক আহমেদ লুৎফুল মবিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা, ট্রাফিক পুলিশের মতিঝিল বিভাগের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ।