ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি অনুসরণ করে তেহরানকে পরমাণু সমঝোতা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) ফরাসি প্রেসিডেন্টের এলিসি প্রাসাদ বিবৃতির মাধ্যমে দাবি করেছে, পরমাণু সমঝোতায় আমেরিকার ফিরে আসার আগে ইরানকে এটি মেনে চলতে হবে।
সদ্য ক্ষমতায় বসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করার দুদিন পর বিবৃতিটি প্রকাশ করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো। মূলত তিনি সেখানে পরমাণু সমঝোতায় আমেরিকাকে ফিরিয়ে আনার জন্য ইরানকে পূর্বশর্তগুলো মেনে চলার আহ্বান জানান।
গত কয়েকদিন যাবত ফ্রান্সের কর্মকর্তারা ইরানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েবার বাগাড়ম্বর করেছেন। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ ইভস লা দ্রিয়াঁ সম্প্রতি ইরানকে ‘অবিলম্বে’ পরমাণু সমঝোতায় দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এমন সময় তিনি আহ্বানটি জানালেন যখন ২০১৮ সালের মে মাসে মার্কিন সরকার পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে ফ্রান্সসহ তিন ইউরোপীয় দেশ এই সমঝোতায় নিজেদের দেওয়া কোনো প্রতিশ্রুতি মেনে চলেনি।
আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি, চীন ও রাশিয়া ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা সই করেছিল। ওই সমঝোতা অনুযায়ী ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে সীমাবদ্ধতা আনার বিনিময়ে তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় পাশ্চাত্য।
যদিও ২০১৮ সালের মে মাসে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকাকে বেআইনিভাবে এই সমঝোতা থেকে বের করে তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনি প্রচারণায় একাধিকবার পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে তেহরান স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছে, পরমাণু সমঝোতায় ফেরার আগে আমেরিকাকে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করে এই সমঝোতায় ফেরা হবে অর্থহীন। আর আমেরিকা তা করলেই কেবল ইরান তার প্রতিশ্রুতিতে ফিরে আসবে; তার আগে নয়।