গণমাধ্যমে প্রকাশিত সকল জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে বিদ্যমান ‘চমৎকার সম্পর্ককে’ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে পারস্য উপসাগরীয় মুসলিম রাষ্ট্র কাতার। সম্প্রতি বেশকিছু মিডিয়া দাবি করেছিল, কাতার সম্প্রতি সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করায় তেহরানের সঙ্গে দোহার সম্পর্কের অবনতি ঘটবে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লোলওয়াহ আল-খাতের মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা ইরনাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ইরান ও তুরস্কের সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে এবং আমরা মধ্যপ্রাচ্যে বিদ্যমান স্থিতিশীলতায় সন্তুষ্ট।
সৌদি নেতৃত্বাধীন কঠোর অবরোধের দিনগুলোতে যেসব দেশ কাতারের পাশে দাঁড়িয়েছিল সেসব দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান আল-খাতের।
সৌদি আরব ও তার তিন মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর ২০১৭ সালের জুন মাসে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেশটির ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ করে। সৌদি আরব যেসব দাবিতে এই জোট পাকায় তার মধ্যে ছিল- ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কমাতে হবে, তুরস্কের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বন্ধ করতে হবে এবং আল-জাজিরা টেলিভিশন বন্ধ করে দিতে হবে।
যদিও কাতার এসব দাবি মেনে না নিয়ে উল্টো ইরান ও তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করেছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন দেশগুলোর তীব্র অবরোধের দিনগুলোতে কাতারের পাশে দাঁড়িয়েছে ইরান ও তুরস্ক। তেহরান ও আঙ্কারার সহযোগিতায় সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের নিষেধাজ্ঞা অকার্যকর করে দিয়েছে দোহা।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে ওই চার আরব দেশ কাতারের সঙ্গে সেই শত্রুতার পরিবেশের অবসান ঘটিয়েছে। কাতার ও সৌদি আরবের মধ্যে স্বাক্ষরিত এক চুক্তির ভিত্তিতে দু’দেশের মধ্যে আবার বাণিজ্যিক লেনদেনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, তার দেশের সঙ্গে চার আরব দেশ যে সংকট তৈরি করেছিল তার ফলে কোনো দেশের লাভ হয়নি বরং প্রত্যেক দেশের ক্ষতি হয়েছে।
আল-খাতের বলেন, গত ৫ জানুয়ারি সৌদি আরবের সঙ্গে কাতার চুক্তি সই করার পর পশ্চিমা ও আরব গণমাধ্যম খবর দিয়েছিল, এবার ইরান ও তুরস্কের সঙ্গে কাতারের সম্পর্কের অবনতি ঘটবে। যদিও বাস্তবে ওই দুই দেশই সবার আগে চুক্তি স্বাক্ষর করাকে স্বাগত জানিয়েছে।