বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও) সতর্ক করে বলেছে, ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে কোভিড-১৯’র ভ্যাকসিন নিয়ে বিভাজন দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে।
সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, ভ্যাকসিনের ডোজ সমভাবে বিতরণে ব্যর্থ হলে বিশ্বকে কোটি কোটি ডলার অর্থনৈতিক খরচ মোকাবেলা করতে হবে।
ডব্লিওএইচও আরো বলেছে, করোনা মহামারি মোকাবেলায় টিকা তৈরি, উৎপাদন ও সরবরাহ এবং করোনার চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য সংস্থাটির ২ হাজার ৬শ কোটি ডলার প্রয়োজন।
সংস্থা প্রধান টেডরস আধানম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, ধনী দেশগুলো ভ্যাকসিন দেয়ার কাজ শুরু করেছে। কিন্তু বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলো দেখছে এবং অপেক্ষা করছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, দিন চলে যাচ্ছে। করোনার টিকা পাওয়া ও না পাওয়ার মধ্যে ব্যবধান ব্যাপক হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জিত হতে পারে। কিন্তু প্রত্যেক দেশের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্বার্থের জন্য ভ্যাকসিনের সমবন্টনকে সমর্থন করতে হবে।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স এর রিসার্চ ফাউন্ডেশনের এক গবেষণা উদ্ধৃত করে টেডরস বলেন, ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির ৯.২ ট্রিলিয়ন ক্ষতি হবে।
তিনি বলেন, গত এক বছরে ২১ লাখেরও বেশি লোক করোনায় মারা গেছে। চলতি সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ কোটিতে পৌঁছাতে পারে।
টেডরস বলেন, ভ্যাকসিন আমাদের আশা দিচ্ছে। এ কারণে আমরা এখন যে জীবন হারাচ্ছি তা আরো মর্মান্তিক হয়ে যাচ্ছে। আমাদেরকে অবশ্যই আশা রাখতে হবে। পদক্ষেপও নিতে হবে।
তিনি করোনা মোকাবেলায় শারিরীক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত ধোয়া ও মাস্ক পরার উপর আবারো গুরুত্বারোপ করেন।