২০০৭ সালের পর মঙ্গলবার আবারো পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট খেলতে নামছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনে পাকিস্তানের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড মনে করছে, এটি তাদের জন্য ‘স্মরণীয় মুহূর্ত’।
মঙ্গলবার করাচিতে বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে।
ইতোমধ্যে ভেনুকে সামরিক বেস্টনিতে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরী করা হয়েছে। পিসিবি প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান বলেন, ‘ভক্ত ও সমর্থকদের জন্য এটি একটি রোমঞ্চকর মুহূর্ত। দীর্ঘ ১৪ বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকা দলের পাকিস্তান সফর একটি ‘স্মরণীয় মুহূর্ত’ এবং সবাই এখন ম্যাচের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।’
এই ম্যাচ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ক্যাপ্টেন্সি শুরু হচ্ছে বাবর আজমের। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সফরে ২-০ তে টেস্ট হেরেছিল পাকিস্তান। সেই সিরিজে ইনজুরির কারণে খেলা হয়নি বাবরের। এই ম্যাচ দিয়ে আবারো ফিরছেন দলের সেরা ব্যাটসম্যান।
ময়দানি লড়াইয়ে পরিসংখ্যানের দিক থেকে এগিয়ে আছে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দলের ২৬ টেস্টের মধ্যে ১৫টিতেই জয়লাভ করেছে প্রোটিয়ারা। তারা হেরেছে ৪টিতে এবং ড্র করেছে ৭টি টেস্টে। সর্বশেষ ২০০৭ সালে করাচিতে একমাত্র টেস্টে পাকিস্তানকে ১৬০ রানে হারায় প্রোটিয়ারা।
পাকিস্তানের জন্য চ্যালেঞ্জও হতে পারে সিরিজটি। কারণ স্কোয়াডে ৯ জন একেবারেই নতুন মুখ।
অন্য দিকে প্রোটিয়ারা সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কাকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে।
অধিনায়ক কুইন্টন ডি ককের মতে, পাকিস্তান অপরিচিত কন্ডিশন। বর্তমান দলের কারোই এখানে খেলা হয়নি। অবশ্য খেলোয়াড় হিসেবে ১৯৯৭, ২০০৩ ও ২০০৭ তিনবার পাকিস্তান সফরের অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রোটিয়া দলের প্রধান কোচ মার্ক বাউচারের।
ডি কক বলেন,‘আমার মনে হয় মার্ক বাউচার ও ইতোপূর্বে পাকিস্তান সফর করা দুই একজন যারা আছেন তারা এ বিষয়ে আমাদের দিকনির্দেশনা দিতে পারবেন।’
দীর্ঘ দিন আন্তর্জাতিক খেলা না হলেও বিগত কয়েক বছর সীমিত ওভারের ক্রিকেট সিরিজের আয়োজন করে পাকিস্তান। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার দলের সফর দিয়ে এক যুগ পর টেস্টও প্রত্যাবর্তন করে পাকিস্তানে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে ৪ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি।