তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ১২০ রানে জিতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ। একদিনের ক্রিকেটে এ নিয়ে ১৪তম বার প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পেল টাইগাররা। একইসঙ্গে এটা বাংলাদেশের ২৬তম সিরিজ জয়।
অন্যদিকে, এই জয়ে টানা তিন ম্যাচ জেতায় পুরো ত্রিশ পয়েন্ট পেয়ে আইসিসি বিশ্বকাপ সুপার লিগের দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানে উঠে এলো টাইগাররা। ছয় ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে অস্ট্রেলিয়া।
আজ সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ- তিনজনই ৬৪ রান করে করেন। এদিন ফিফটি হাঁকান সাকিব আল হাসানও।
অধিনায়ক তামিম ৮০ বলে ৬৪ রান করে বিদায় নেওয়ার পর দলের হাল ধরেন সাকিব ও মুশফিক। ৮১ বলে ৫১ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। শেষদিকে চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন মুশফিক ও রিয়াদ।
মুশফিক ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৫ বলে ৬৪ এবং রিয়াদ ৩টি করে চার-ছক্কায় ৪৩ বলে ৬৪ রান করেন। রিয়াদ অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়লেও লিটন দাস, সৌম্য সরকারদের ব্যর্থতার দিনে দলীয় সংগ্রহ ৩০০ স্পর্শ করতে পারেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে দুটি করে উইকেট শিকার করেন আলজারি জোসেফ ও রেইমন রেইফার।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইনআপে এদিনও প্রথম আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৩০ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান কাটার মাস্টার। এনক্রুমাহ বোনের ও রোভম্যান পাওয়েল প্রতিরোধ গড়ে তুললেও দলের বাকিরা ব্যস্ত ছিলেন আসা-যাওয়া মিছিলে। পাওয়েলের ৪৯ বলে ৪৭ ও বোনারের ৬৬ বলে ৩১ রানের ইনিংসই ক্যারিবীয়দের ব্যাটিংকে যা একটু দীর্ঘায়িতই করেছে। যাতে ৪৪.২ ওভারে ১৭৭ রানেই গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়দের ইনিংস।
টাইগার বোলারদের পক্ষে একাদশে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন শিকার করেন তিনটি উইকেট। এছাড়া দুটি করে উইকেট পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমান। চোটের কারণে ৪.৫ ওভার বল করেই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয় সাকিব আল হাসানকে। বর্তমানে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউণ্ডার।