প্রথম ইনিংসে যে শ্রীলঙ্কাকে দেখা গিয়েছিল, সেই দলকে দেখা গেলো না দ্বিতীয় ইনিংসে। প্রথম ইনিংসে পেসে বিধ্বস্ত লঙ্কানরা দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিন বিষে নীল। তাতে গলেতে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে বিজয় উল্লাস করলো ইংল্যান্ড। শ্রীলঙ্কা দেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশড হলো ইংলিশদের কাছে। ৬ উইকেটে জিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ তে জিতলো সফরকারীরা।
৯ উইকেটে ৩৩৯ রানে সোমবার চতুর্থ দিন খেলতে নেমেছিল ইংল্যান্ড। জ্যাক লিচ ও জেমস অ্যান্ডারসন স্কোরবোর্ডে আর ৫টি রান যোগ করার পর অলআউট হয় সফরকারীরা। দিলরুয়ান পেরেরা এলবিডাব্লিউ করেন লিচকে (১)। অ্যান্ডারসন অপরাজিত ছিলেন ৪ রানে। ৩৪৪ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।
৩৭ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ডম বেস ও লিচের স্পিনে কুপোকাত তারা। ৬৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৪.৫ ওভার টিকে ছিল লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইন।
সুরাঙ্গা লাকমলের সঙ্গে নবম উইকেটে লাসিথ এম্বুলদেনিয়া প্রতিরোধ না গড়লে আরও আগেই শেষ হতো শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংস। তারা স্কোরবোর্ডে ৪৮ রান যোগ করেন, যাতে ৪০ রান করে অবদান রাখেন এম্বুলদেনিয়া।
বেস ও লিচের স্পিন ঘূর্ণির পর শখ করে বল হাতে নেন ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট। দ্বিতীয় ওভারে টানা দুই বলে এম্বুলদেনিয়া ও আসিথা ফার্নান্ডোকে ফেরান তিনি। প্রথম ওভার মেডেন করা রুট দ্বিতীয় ওভারেও কোন রান না দিয়ে পাঁচ বলে লঙ্কানদের শেষ দুটি উইকেট নেন।
শ্রীলঙ্কাকে ১২৬ রানে অলআউট করতে বেস ও লিচ চারটি করে উইকেট নেন। টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবার এক ইনিংসে ১০ উইকেটের সবগুলো পেয়েছেন পেসাররা, আর দ্বিতীয় ইনিংসের সব উইকেট শিকার করেছেন স্পিনাররা।
১৬৪ রানের লক্ষ্যে নেমে ইংল্যান্ড সহজ জয়ের পথ তৈরি করে দেন ডম সিবলি। ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়েন তিনি।
লঙ্কান স্পিনার এম্বুলদেনিয়া ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসেও ছিলেন ভয়ঙ্কর। জ্যাক ক্রলি (১৩), বেয়ারস্টো (২৯) ও ড্যান লরেন্সকে (২) ফেরান তিনি। আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান রুট ১১ রানে রমেশ মেন্ডিসের শিকার হন।
আর কোনও উইকেট না হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ইংল্যান্ড। ৪ উইকেটে ১৬৪ রান করে তারা। বাটলারের সঙ্গে ৭৫ রানের অপরাজিত জুটি গড়েন সিবলি। ১৪৪ বলে ২ চারে ৫৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ইংলিশ ওপেনার। ৪৬ রানে খেলছিলেন বাটলার।