করোনা প্রতিরোধে ১৬-১৮ বছরের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু করেছে ইসরায়েল। মূলত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার।
ডিসেম্বরের ১৯ তারিখ থেকে ইসরায়েলে করোনার টিকাদান শুরু হয়। প্রথমেই বয়স্ক ও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এমন ব্যক্তিদের আগে ভ্যাকসিন দেয়া হয়। তবে ৪০ বছর ও তার বেশি বয়সীরাও এখন ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।
দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, অভিভাবকের অনুমতি সাপেক্ষে ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনার উদ্দেশ্য হল ‘এদেরকে স্কুলে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম করা ও পরীক্ষা সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করা।’
ইসরায়েলে উচ্চ বিদ্যালয় শেষে শিক্ষার্থীরা যে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা দেয় তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এরপর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোথায় পড়বে সেটা এর মাধ্যমেই নির্ধারিত হয়। সামরিক বাহিনীতে যোগদানের ক্ষেত্রেও এই পরীক্ষার ফলাফলের ভূমিকা রয়েছে। সামরিক বাহিনীতে কাজ করা তরুণ ইসরায়েলিদের জন্য বাধ্যতামূলক।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানায়, আগামী মাসেই স্কুল খুলে দেয়া হবে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে করোনা ভ্যাকসিন প্রদানে এক নম্বরে রয়েছে ইসরায়েল। গত বছরের শেষ নাগাদ ১০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসে দেশটি।
উল্লেখ্য, দেশটিতে এরই মধ্যে দেশটির মোট জনসংখ্যার চার ভাগের এক ভাগ জনগোষ্ঠীকে ইতোমধ্যে ভ্যাকসিনের অন্তত প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে।