সম্প্রতি চীনের উপকূলরক্ষী বাহিনীকে বিদেশি জাহাজে গুলি করার অনুমতি দিয়ে একটি আইন পাস করেছে বেইজিং সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকা দক্ষিণ চীন সাগরে বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে। মার্কিন সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে দক্ষিণ চীন সাগরের সামরিক উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন সামরিক বাহিনী গতকাল রোববার জানিয়েছে, ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্ট বিমানবাহী রণতরী গতকাল শনিবার দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবেশ করেছে। রণতরীর কমান্ডার ডগ ভেরিসিমো সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ৩০ বছরের কর্মজীবনে তিনি দক্ষিণ চীন সাগরের পানিসীমা দিয়ে বহুবার যাতায়াত করেছেন, আবার দক্ষিণ চীন সাগরে ফিরতে পেরে তিনি উল্লসিত। ভেরিসিমো তার ভাষায় বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরের জলরাশিতে জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করবেন তারা এবং মিত্রদেরকে আশ্বস্ত করবেন।
কমান্ডার ভেরিসিমো বলেন, বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ বাণিজ্য এই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দিয়ে হয়ে থাকে। ফলে এই অঞ্চলে আমেরিকার উপস্থিতি মৌলিক বিষয়।
দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরো এলাকার ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করছে চীন। তবে ওই এলাকার প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের পক্ষ নিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন সরকার দক্ষিণ চীন সাগরে প্রায়ই যুদ্ধজাহাজ এবং জঙ্গিবিমান পাঠিয়ে থাকে; তারা দাবি করে আসছে যে এটি তাদের জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা। অন্যদিকে চীন বারবার আমেরিকাকে দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক তৎপরতার জন্য হুঁশিয়ার করে আসছে।
সূত্র : সিএনএন