spot_img

তায়াম্মুম

অবশ্যই পরুন

পবিত্র মাটির সাহায্যে পবিত্র হওয়াকে তায়াম্মুম বলে। যখন ফরজ গোসল বা অজুর প্রয়োজন হয়, তখন পানি না পাওয়া গেলে অথবা পানি ব্যবহারে অসুখের সম্ভাবনা থাকলে বা রোগবৃদ্ধির আশঙ্কা থাকলে পানি ব্যবহার না করে তায়াম্মুম করলেই অজু বা গোসলের কাজ হবে। আল্লাহ বলেন- ‘যদি তোমরা রোগগ্রস্ত হও অথবা ভ্রমণরত থাক অথবা তোমাদের কেউ মলমূত্র ত্যাগ করে আসে বা স্ত্রী সহবাস করে, তখন যদি পানি না পাওয়া যায় তায়াম্মুম কর, তোমাদের মুখমণ্ডল এবং হস্তদ্বয় পবিত্র মাটি দ্বারা মাসেহ কর। আল্লাহ তোমাদেরকে কষ্ট দিতে ইচ্ছা করেন না, কিন্তু তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করতে ইচ্ছা করেন।’

১. হাদিস: হজরত এমরান (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে একবার আমরা সফর ছিলাম। তিনি সকলকে নামাজ পড়ালেন। নামাজ শেষে দেখলেন, এক ব্যক্তি এক পার্শ্বে বসে রয়েছে, নামাজ পড়েনি। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে অমুক! তোমাকে কিসে বাধা দিল লোকের সঙ্গে নামাজ পড়তে? বলল, আমি অপবিত্র এবং পানি নেই। তিনি বললেন, এ মাটি ব্যবহার কর, তা তোমার জন্য যথেষ্ট। (বোখারি, মুসলিম)

২. হাদিস: হজরত আবুজর গিফারি (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, পবিত্র মাটি মুসলমানদের জন্য পবিত্রতাকারী, যদিও সে ১০ বছর পর্যন্ত পানি না পায়। যখন পানি পাবে তখন যেন সে পানি তার দেহে ব্যবহার করে, তাই উত্তম। (আহমদ, তিরমিজি, আবু দাউদ, নাসায়ি)

৩. হাদিস: হজরত জাবের বিন আবদুল্লাহ (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা কয়েক লোক এক সফরে বের হলাম। পাথরের সঙ্গে আঘাত লেগে একজন আহত হলো। মাথায় ক্ষত হলো। অতঃপর তার স্বপ্নদোষ হলো এবং সঙ্গীদের জিজ্ঞেস করল, আমার কি তায়ামুম্ম করার অনুমতি আছে? তারা বলল, তোমার পানি ব্যবহারে সামর্থ্য আছে বলে মনে করি, তোমার জন্য অনুমতি আমরা দেখতে পাই না। লোকটি গোসল করল এবং মারা গেল। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এ সংবাদ জানালে তিনি বললেন, যারা তাকে হত্যা করেছে, আল্লাহ তাদেরকে হত্যা করুন। কেন তারা জিজ্ঞেস করল না, যখন তারা জানে না? অজানা-রূপ রোগের ওষুধ জিজ্ঞেস করা। অথচ তার জন্য যথেষ্ট ছিল- সে তায়াম্মুম করবে এবং ক্ষতস্থানে পট্টি বাঁধবে। অতঃপর তার ওপর মাসেহ করবে এবং তার বাকি শরীর ধুবে। (আবু দাউদ)

৪. হাদিস: হজরত আম্মার (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, দুজন লোক সফরে বের হলো; নামাজের সময় হলে পানির অভাব পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নামাজ পড়ল। অতঃপর তারা পানি দেখতে পেল। একজন অজু করে আবার নামাজ পড়ল। অন্যজন পড়ল না। অতঃপর উভয়ে রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকট গিয়ে এর উল্লেখ করলে, তিনি যে পুনরায় অজু করে নামাজ পড়েনি তাকে বললেন, তুমি সঠিক পন্থা লাভ করেছ, তোমার সেই নামাজটি যথেষ্ট। যে ব্যক্তি অজু করে পুনরায় নামাজ পড়েছে, তাকে বললেন, তোমার জন্য দ্বিগুণ পুণ্য। (আবু দাউদ, নাসায়ি)

সর্বশেষ সংবাদ

বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে নীতিগত সিদ্ধান্ত

বিতর্কিত 'সাইবার নিরাপত্তা আইন' বাতিল করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ