spot_img

ভারতীয় তরুণদের তুলনায় অস্ট্রেলিয়ানরা ‘প্রাইমারি স্কুলের শিশু’

অবশ্যই পরুন

একটা সময়ে অস্ট্রেলিয়া ছিল ক্রিকেট বিশ্বের রোল মডেল। তাদের ক্রিকেট কাঠামো অনুসরণ করতো বিশ্বের বাকি দেশগুলো। ভারতও সেই দলগুলোর মধ্যে একটি ছিল। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুই বদেলেছে। ভারতীয় ক্রিকেট এখন উন্নতির চূড়ায়। যে চূড়ার দিকে তাকিয়ে অস্ট্রেলিয়াও। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান গ্রেগ চ্যাপেলের মতে, ভারতীয় তরুণদের চেয়ে অস্ট্রেলিয়ান তরুণরা অনেক পিছিয়ে।

অস্ট্রেলিয়া সফরে অবিশ্বাস্য ক্রিকেট খেলেছে ভারত। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রানে অলআউট হওয়ার পরও বিপুল বিক্রমে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। পরের টেস্ট জিতে বর্ডার-গাভাস্কার টেস্ট সিরিজে সমতা আনে তারা। সমতায় ফিরেও স্বস্তি ছিল না, চোট আর ছুটি মিলিয়ে বেশ কয়েকজন শীর্ষ ক্রিকেটারকে ছাড়াই লড়তে হয়েছে ভারতকে।

অবশ্য কোনো কিছুই বাধা হয়নি। ওয়াশিংটন সুন্দর, ঋষভ পন্ত, মোহাম্মদ সিরাজ, শার্দুল ঠাকুরদের মতো তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়েই দারুণ এক সিরিজ জিতেছে ভারত। ঐতিহাসিক এই সিরিজ জয়ের পর ভারতের ক্রিকেট কাঠামো নিয়ে প্রশংসা হচ্ছে সবখানে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া ব্যস্ত তাদের পিছিয়ে পড়ার কারণ অনুসন্ধানে।

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক কোচ ড্যারেন লেম্যান ও স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে গ্রেগ চ্যাপেল (মাঝে)। ছবি: সংগৃহীত

এমন সময়ে দুই দেশের ক্রিকেটের পার্থক্য নিয়ে কথা বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ব্যাটসম্যান গ্রেগ চ্যাপেল। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে লেখা কলামে দুই দেশের তরুণ ক্রিকেটারদের তুলনা করতে গিয়ে চ্যাপেল লিখেছেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায় থেকেই প্রতিটি ধাপে চ্যালেঞ্জিং ক্রিকেট খেলে বেড়ে ওঠে ভারতীয়রা। তাদের তুলনায় আমাদের তরুণ ক্রিকেটাররা দুর্বল যোদ্ধা।’

‘একজন ভারতীয় ক্রিকেটার জাতীয় দলে পা রাখার আগে যাবতীয় শিক্ষানবিশ সময় কাটিয়ে আসে। প্রস্তুত হয়ে আসে বলে জাতীয় দলে তার সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সেই তুলনার অভিজ্ঞতার দিক থেকে আমাদের উইল পুকোভস্কি, ক্যামেরন গ্রিনরা এখনও প্রাইমারি স্কুলেই পড়ে আছে।’ যোগ করেন চ্যাপেল।

এক সময়ে ভারত জাতীয় দলের কোচ ছিলেন গ্রেগ চ্যাপেল। খুব কাছে থেকেই ভারতীয় ক্রিকেট দেখেছেন তিনি। তার মতে ভারতীয় ক্রিকেটের গঠন ও তাদের ক্রিকেট পদ্ধতিই তরুণদের অনেক শক্ত করে গড়ে তোলে।

চ্যাপেল বলেন, ‘ভারতের যুব দলগুলো আমাদের কয়েকটি প্রথম শ্রেণির দলকেও বিপদে ফেলতে পারে। বিভিন্ন পর্যায়ে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলে তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শিখে যায়। নেটে অনুশীলনে বা কম শক্তির দলের সঙ্গে খেলে ওই পর্যায়ের ক্রিকেটের ভিত্তি পাওয়া সম্ভব নয়। ভারতে ৩৮টি প্রথম শ্রেণির দল আছে, এটাই বলে দেয় তাদের প্রতিভার পরিধি।’

সর্বশেষ সংবাদ

মুজিববর্ষের নামে ভাস্কর্য-ম্যুরালে হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট: শফিকুল আলম

মুজিববর্ষের নামে কত টাকা অপচয় করা হয়েছে তা বর্তমান সরকার খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ