এ পর্যন্ত কৃষক প্রতিনিধি ও সরকার পক্ষের মধ্যে ১০ দফা বৈঠক হয়েছে। দফায় দফায় কৃষক ও মোদি সরকারের মধ্যে বৈঠকের পরও ভারতের নয়া কৃষি আইন নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে কোনও সমাধান আসেনি।
বৃহস্পতিবার ( ২১ জানুয়ারি) সাংবাদিক সম্মেলনে সেই প্রস্তাবেও সায় দিল না কৃষক সংগঠনগুলো। সংযুক্ত কৃষাণ মোর্চা কৃষক সংগঠনগুলোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয়। ফলে দেশের কৃষি আইন নিয়ে অচলাবস্থা বহালই থাকল। সম্প্রতি মোদি সরকার দেড় বছরের জন্য এ আইন কার্যকর না করার প্রস্তাব দিলেও কৃষকেরা সরাসরি নারাজি দিয়েছেন।
শুক্রবার ( ২২ জানুয়ারি) ফের কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে কৃষক সংগঠনগুলোর। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম বলেছে, এ পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে ১০ দফা বৈঠক হয়েছে। সর্বশেষ বুধবার কৃষি আইন প্রত্যাহারে অনড় কৃষি সংগঠনগুলোর দাবি আংশিক মেনে শেষ বৈঠকে সরকারের প্রস্তাব ছিল সেই আইন দেড় বছর কার্যকর না করার।
বুধবার কৃষক সংগঠনগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রের দশম দফার বৈঠক হয়। ৩ টি কৃষি আইন দেড় বছরের জন্য কার্যকর করা হবে না বলে বৈঠকে কৃষকদের সামনে প্রস্তাব রাখে কেন্দ্র। বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল সংগঠনগুলো। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে সংযুক্ত কৃষাণ মোর্চা জানিয়ে দেয়, সরকারের এই প্রস্তাব তারা মানছে না।
আইন সম্পূর্ণ প্রত্যাহার ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) নিয়ে আইনি গ্যারান্টির দাবিতেই অনড় থাকল কৃষক সংগঠনগুলো। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, কৃষি আইন দেড় বছরের জন্য মুলতবি করার প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে কৃষক সংগঠনগুলোর সামনে।
একটি যৌথ কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটি যতক্ষণ না এ প্রসঙ্গে কোনও রিপোর্ট দেবে, তত ক্ষণ কৃষি আইন বলবৎ করা হবে না।