জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফের যোগ দেয়ার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তিনি বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্রাসের লড়াইয়ের ব্যাপারে একটি ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষী’ পরিকল্পনা গ্রহণে তার প্রতি আহ্বান জানান। খবর এএফপি’র।
গুতেরেস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তিতে ফের যোগ দেয়ার এবং জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, নগর, রাজ্য, ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান জোট ও জনগণের নেয়া উচ্চাকাক্সক্ষী পদক্ষেপে অংশ নিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পদক্ষেপকে আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ২০৩০ সালের উচ্চাকাক্সক্ষী লক্ষ্য এবং এ বছরের শেষের দিকে গ্লাসগোতে কোপ২৬’র অগ্রগতির ব্যাপারে জলবায়ু অর্থনীতি নিয়ে জাতীয়ভাবে নির্ধারিত নতুন কার্যক্রম এগিয়ে নেয়াসহ একটি ভারসাম্যপূর্ণ জলবায়ুর ব্যাপারে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা জোরদার করতে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বের অপেক্ষায় রয়েছি।’
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর জো বাইডেন গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি বিষয়ে কার্যনির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্তরাধিকার ভেঙে দেওয়ার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
ট্রাম্পের অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, বর্ণগত সাম্যতা এবং করোনভাইরাস মহামারি পরিচালনার বিপরীত কার্যনির্বাহী পদক্ষেপে স্বাক্ষর করেন জো বাইডেন।
এছাড়া প্রথম দিনেই এক ডজন নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর মধ্যে আছে গৃহায়ণবিষয়ক নীতি, শিক্ষার্থীদের ঋণ, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসনবিষয়ক ইস্যু ও মুসলিমদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয়গুলো।
ক্যাপিটাল অফিসে শপথ গ্রহণের কয়েক ঘন্টা পর উক্ত আদেশগুলোতে স্বাক্ষর করেন নতুন রাষ্ট্রপতি। তিনি ট্রাম্পের ইউএস-মেক্সিকো সীমানা প্রাচীর নির্মাণ বন্ধ, কিছু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় পুনরায় যোগদান এবং কিস্টোন এক্সএল-এর অনুমোদন প্রত্যাখ্যান করে নির্বাহী আদেশ দেন।