সাংবিধানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার পর ফ্লোরিডা রাজ্যের পাম বিচ দ্বীপের মার-আ-লাগো ভবনটিকে স্থায়ী আবাস হিসেবে ব্যবহার করবেন।
নিউইয়র্ক পোস্টসহ একাধিক মার্কিন সংবাদমাধ্যম এই তথ্য জানিয়ে বলেছে, সমুদ্র তীর ঘেঁষা এই ভবনটি বরাবরই ট্রাম্পের খুব প্রিয়। ক্ষমতার চার বছর এই ভবনে অনেক সময় কাটিয়েছেন তিনি। প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ শীতকালের প্রায় পুরো সময় এই ভবনে কাটানোর কারণে অনেকেই মার-আ-লাগোকে ‘শীতকালীন হোয়াইট হাউস’ নাম দিয়েছিলেন ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়ার আগে নিউইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারে সপরিবারে থাকতেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সেখানকার আবাস গুটিয়ে মার-আ-লাগোতে স্থায়ীভাবে বসবাসের যাবতীয় প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ করেছিলেন তিনি। বুধবার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে স্ত্রী ফ্লোরিডার উদ্দেশ্যে উড়াল দেন ডোনাল্ড ও তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প।
১৯২৭ সালে ফ্লোরিডার বিখ্যাত পোস্ট পরিবারের উত্তরসূরী মারজোরি মেরিওয়েদার পোস্ট ২০ একর জমির ওপর রাজসিক এই স্থাপনা তৈরি করিয়েছিলেন। ১৯৮৫ সালে ১ কোটি ডলারের বিনিময়ে এটি কিনে নেন ট্রাম্প। পরে ক্লাবে রূপাান্তর করা হলেও গত চার বছর যাবৎ এই ভবনটিতে প্রায় সময়েই সপরিবারে থাকতে এসেছেন তিনি।
ফ্লোরিডা রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভবন হিসেবে স্বীকৃত মার-আ-লাগোতে ১২৮ টি কক্ষ ছাড়াও রয়েছে ২০ হাজার বর্গফুটের একটি নাচঘর, ৫ টি টেনিস কোর্ট এবং সুবৃহৎ একটি সুইমিং পুল। আর একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো- ভবনটি থেকে সরাসরি আটলান্টিক মহাসাগরের সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়।
১৯৮৫ সালে পুরনো এ স্থাপনাটি কেনার পর তাতে ব্যাপক সংস্কার করেন ট্রাম্প। ফ্লোরিডার যে এলাকায় মার-আ- লাগোর অবস্থান, সেই হিসেবে বর্তমানে ভবনটির আর্থিক মূল্য প্রায় ১৬ কোটি ডলার বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ম্যাগাজিন ফোর্বস।
সূত্র: এনডিটিভি