ঠাকুরগাঁওয়ে স্ত্রী ফরিয়া আক্তার মুমুকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার অভিযোগ সন্দোহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী ইমতিয়াজ হোসেনকে (ডায়মন্ড) মৃত্যুদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার অপর সহযোগী আসামি আসাদ হোসেনকে (জেসি) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদ এ রায় দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. শেখর কুমার রায়।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ইমতিয়াজ হোসেনকে (ডায়মন্ড) ঠাকুরগাঁও শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার মৃত এস এম আজিম ছেলে ও যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসাদ হোসেন (জেসি) কলেজপাড়া এলাকার মৃত নুরুল মমিনের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জেলা শহরের মুন্সিপাড়ায় নববধূ ফরিয়া আক্তার মুমুকে (২৩) পিটিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর লাশ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখে স্বামী ইমতিয়াজ হোসেন। এই ঘটনায় সদর থানা পুলিশের এসআই ও বর্তমান হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) নাজমুল হক বাদি হয়ে ২০১৩ সালের ২৩ অক্টোবর সহযোগী আসাদ হোসেনসহ দুজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করে
২০১৪ সালে মামলার তদন্ত করেন সদর থানার সাবেক এসআই ও বর্তমান থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. শেখর কুমার রায় বলেন, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ইমতিয়াজ হোসেনকে (ডায়মন্ড) মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অপর আসামিকে আসাদ হোসেনকে (জেসি) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।