অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেছেন, পর্যায়ক্রমে কয়েকটি ধাপে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সব নাগরিককে বিনামূল্যে টিকার আওতায় আনা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভ্যাকসিন বিতরণের খসড়া পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে। ভ্যাকসিন সফলভাবে প্রয়োগ করার সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
আজ (বুধবার) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের বাজেট বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন প্রয়োগকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ উৎপাদনকারী অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরকারিভাবে আমদানির উদ্যোগ চূড়ান্ত হয়েছে। এ লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে।
‘পাশাপাশি করোনাভাইরাসের টিকার ন্যায্য বণ্টনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিকল্পনা করা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটির (কোভ্যাক্স) আওতায় আরও সাড়ে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।’
‘করোনা মোকাবিলায় জরুরি স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার, নার্স, ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট নিয়োগ দিয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক পিসিআর ল্যাবরেটরি ও আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করেছে। তাছাড়া সরকার জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থাকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়ে স্বাস্থ্য খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ প্রদান অব্যাহত রেখেছে। প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি দিক নির্দেশনায় করোনা প্রতিরোধ, সংক্রমণ হ্রাস ও চিকিৎসা প্রদানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছি আমরা’— বলেন আহম মুস্তফা কামাল।
তিনি আরো বলেন, করোনার ভ্যাকসিন আমদানি ও প্রয়োগের জন্য অতিরিক্ত পাঁচ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধি করে এ সংক্রান্ত প্রকল্পটির কলেবর বাড়ানো হয়েছে। ভ্যাকসিন সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রয়োগসহ প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে এই অতিরিক্ত বরাদ্দ ব্যয় করা হবে।