ইরানের কাছে সদস্যপদের চাঁদা হিসেবে এক কোটি ৬০ লাখ ডলারের বেশি পাওনা রয়েছে বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। সোমবার (১৮ জানুয়ারি) নিউইয়র্কে এক বক্তব্যে এই দাবি করেন তিনি।
অ্যান্তোনিও গুতেরেস দাবি করে বলেন, ইরান এবং আফ্রিকার নয়টি দেশ তাদের চাঁদা পরিশোধ করেনি। টাকা পরিশোধ না করলে এসব দেশ সাধারণ পরিষদে তাদের সদস্যপদ হারাবে বলেও সতর্ক করে দেন তিনি।
গুতেরেস সোমবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনের সভাপতি ভলক্যান বোজকিরের কাছে লেখা এক চিঠিতে ১০ দেশের কাছে জাতিসংঘের পাওনা অর্থের পরিমাণও জানান। এতে ইরানের দেনা ধরা হয়েছে এক কোটি ৬২ লাখ ৫১ হাজার ২৯৮ ডলার।
জাতিসংঘ মহাসচিবের এই বক্তব্যের একদিন আগে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে রোববার সাংবাদিকদের জানান, ইরানের আর্থিক লেনদেনের ওপর আমেরিকার কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সামান্য যে দুই-একটি চ্যানেল চালু ছিল তা ব্যবহার করে তেহরান বিগত বছরগুলোতে জাতিসংঘের বার্ষিক চাঁদা পরিশোধ করেছে বলে জানান তিনি।
সাঈদ খাতিবজাদে বলেন, ২০২০ সালে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অত্যন্ত কঠোর হওয়ার কারণে আগের চ্যানেলগুলো ব্যবহার করে অর্থ পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে ইরান বর্তমানে এই অর্থ পরিশোধ করার জন্য একটি সম্ভাব্য নিরাপদ আর্থিক চ্যানেল নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান এই নেতা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আমেরিকা এ পর্যন্ত ইরানের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে নানা ধরণের টালবাহানা করায় এবার তেহরান জাতিসংঘকে জানিয়ে দিয়েছে আমেরিকার কোনো ব্যাংককে ব্যবহার করে ইরান জাতিসংঘের চাঁদা পরিশোধ করবে না। এ কারণে জাতিসংঘকে বিকল্প কোনো চ্যানেল ব্যবহার করে ইরানের অর্থ গ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে মুখপাত্র উল্লেখ করেন।