যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প তার স্বামী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পথেই হাটলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট শপথ নেয়ার পর থেকে নানা কার্যক্রমে বিভিন্ন সময় বিতর্কিত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে মার্কিনীদের অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছেন মেলানিয়া ট্রাম্প। ক্ষমতার শেষ বেলায় এসে স্বামীর দেখানো বিতর্কিত রাস্তায়ই হাটলেন মেলানিয়া। এখন পুরো যুক্তরাষ্ট্রে মেলানিয়াকে নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানাননি বিদায়ী ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। ১৯৫০ সালের পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ফার্স্ট লেডিকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানানো হলো না।
ডেইলি মেইল বলছে, এটি এমন একটি প্রথা যা উত্তেজনাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও অব্যাহত ছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর নানা বিতর্ক হলেও মিশেল ওবামা মেলানিয়াকে হোয়াইট হাউজে স্বাগত জানান।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরই মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই প্রথা ভাঙলেন মেলানিয়া। আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানালেন না ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনকে।
এক বিদায়ী বার্তায় মেলানিয়া বলেন, প্রতিটি বিষয়ে মানুষের উৎসাহিত হওয়া উচিত। কিন্তু হিংসার আশ্রয় নেয়া উচিত নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি হিসাবে শেষ ভিডিও বার্তায় তিনি আরো বলেন, কারো প্রতি অনুরাগী হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু মনে রাখা উচিত, হিংসা কোনো কিছুর জবাব হতে পারে না। এটা ন্যায়সঙ্গত নয়।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে সরাসরি ভোটে কারচুপির অভিযোগ তোলেন তিনি। এরপর তারই উস্কানিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প অনুসারীরা হামলা চালায়।
ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলা সারাবিশ্বে আলোড়ন তৈরি করেছে। বিশ্বের অনেকে এই হামলায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগ তুলেন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। যার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সংসদের নিম্নকক্ষ হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে দ্বিতীয়বারের মতো ইমপিচড বা অভিশংসিত হন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।