অসুস্থ হওয়ার পাঁচ মাস পর রাশিয়ায় ফেরা পুতিনবিরোধী নেতা আলেক্সি নাভানলিকে গ্রেফতারের পর ৩০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মূলত এই ৩০ দিন বিচারকার্য শুরু হওয়ার আগে তাকে রিমান্ডে রাখা হবে। খবর বিবিসি’র।
সোমবার পুলিশ স্টেশনে আদালত বসিয়ে তাকে এই আটকাদেশ দেওয়া হয়। নাভালনি এই আদালতকে ‘উপহাস’ অভিহিত করে সমর্থকদেরকে বিক্ষোভে নামার ডাক দিয়েছেন।
রাজধানী মস্কোর একটি পুলিশ স্টেশনে আটকে রাখা হয় তাকে। এর পর ২৪ ঘন্টা না পেরোতেই মস্কোর উপকণ্ঠে খিমকির একটি পুলিশ স্টেশনে আদালত বসিয়ে একদিনের শুনানি আয়োজন করা হয়।
আগামী ২৯ জানুয়ারি আরেকটি শুনানিতে হাজির করা হবে নাভালনিকে। তার সাড়ে তিনবছরের স্থগিত দণ্ডের জায়গায় জেল কার্যকর করা হবে কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এই শুনানিতে। ২০১৪ সালের একটি অর্থ আত্মস্যাৎ মামলায় স্থগিত দণ্ডের প্যারোলের শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে নাভালনিকে আটক দেখানো হয়েছে।
চিকিৎসা নিয়ে দীর্ঘ পাঁচ মাসের পর রোববারই রাশিয়ায় ফিরেই গ্রেপ্তার হন পুতিনবিরোধী নেতা আলেক্সি নাভানলি। এদিন বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় দেশটির পুলিশ।
জার্মানি থেকে নাভানলিকে বহনকারী বিমানটির অবতরণ করার কথা ছিল নুকোভ বিমানবন্দরে। সেখানে তার সমর্থকরাও হাজির হয়েছিলেন স্বাগত জানাতে। কিন্তু রাশিয়া সরকার বিমানটিকে মস্কোর শেরেমিতিয়েভো বিমানবন্দরে অবতরণ করায়। সেখান থেকেই নাভালনিকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
উল্লেখ্য, গেল বছরের আগস্টে সাইবেরিয়ার টমসক শহর থেকে মস্কো যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন নাভালনি। এককাপ চা পানের পরই অসুস্থ হয়ে কোমায় চলে গিয়েছিলেন ৪৪ বছর বয়সী এই নেতা। প্রথমে তাকে সাইবেরিয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তিনি চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে যান। তদন্তকারীরা জানায়, পুতিনের এই সমালোচককে হত্যার জন্য বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল।
জার্মানিতে দীর্ঘ পাঁচ মাস চিকিৎসা নিয়ে পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে গত বুধবার নাভালনি তার দেশে ফেরার ঘোষণা দেন। এর পরপরই মস্কোর কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশে ফেরামাত্র পুতিন সমালোচককে গ্রেফতারের জন্য তারা সবকিছু করবে। কারণ জালিয়াতির মামলায় ২০১৪ সালের স্থগিত দণ্ডের শর্ত লঙ্ঘন করেছেন তিনি।