spot_img

দারফুরে নতুন করে সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৮৩

অবশ্যই পরুন

সুদানে নতুন করে সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল রোববার জাতিদাঙ্গায় ৮৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অসংখ্য নারী এবং শিশু আছে। জাতিগত বিরোধ থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি জাতিসংঘ সুদান থেকে নিরাপত্তা বাহিনী সরিয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছিল। তারপরেই এই ঘটনা ঘটায় উদ্বেগে সাধারণ মানুষ।

সুদানের বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিক শরণার্থী শিবির আছে। জাতিগত দাঙ্গায় বিধ্বস্ত সাধার মানুষ আশ্রয় হারিয়ে এই ক্যাম্পগুলিতে এসে থাকেন। প্রশাসন জানিয়েছে, শনিবার দারফুর অঞ্চলে তেমনই একটি ক্যাম্পে দুই ব্যক্তির মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। তাঁদের জাতিগত পরিচয় আলাদা ছিল। সাময়িক হাতাহাতির পর সংঘর্ষ আরো বাড়ে। এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তারপরেই বিষয়টি নিয়ে চরম উত্তেজনা শুরু হয়। মৃত ব্যক্তির পরিবার প্রথমে ভিন্ন জাতির গ্রামে আক্রমণ চালায়। তার সুযোগ নেয় চরমপন্থিরাও। গ্রামের পর গ্রামে আক্রমণ চালাতে শুরু করে তারা। নারী, শিশু কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি।

ঘটনার কথা প্রচার পেতেই আরো বেশ কিছু ক্যাম্পেও সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রশাসনে জানিয়েছে, রোববার মৃত্যু হয়েছে ৮৩ জনের। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ১৬০ জন। সোমবার আহতের সংখ্যা আরো বেড়েছে। মৃত এবং আহতদের মধ্যে বেশ কিছু নারী এবং শিশু আছে।

এ দিকে কিছুদিন আগেই সুদানে একনায়ক সরকারের পতন হয়েছে। নতুন সরকারকে গণতান্ত্রিক বলে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ। তাদের নেতৃত্বে সুদানে ১৩ বছরের জাতিদাঙ্গা বন্ধ হবে বলে জানানো হয়েছিল। বস্তুত, নতুন সরকার নির্বাচিত হওয়ার পরেই সুদান থেকে নিরাপত্তারক্ষী সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ। তারপরেই এই ঘটনা।

সুদানের সাধারণ মানুষের একটি বড় অংশের বক্তব্য, নিরাপত্তা বাহিনী চলে গেলে চরমপন্থিদের তাণ্ডব আরো বাড়বে। এমনিতেই বহু মানুষ সব হারিয়ে শরণার্থী শিবিরে থাকেন। সেখানেও চরমপন্থিরা আক্রমণ চালাতে শুরু করেছে। ফলে পরিস্থিতির কোনোই উন্নতি হয়নি।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে।

সর্বশেষ সংবাদ

কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না নয়: আইজিপি

পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাসমূহ যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ