করোনাকালে ২টি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ এবং বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে স্পিনারদের চেয়ে তুলনামুলক ভাল করেছে পেসাররা। শীর্ষ উইকেট শিকারীর তালিকায় ছিলেন তারা।
মোস্তাফিজ,রুবেল,তাসকিনদের পাশে ২ তরুন শরীফুল,হাসান মাহমুদ করেছেন দারুন বোলিং। সে কারণেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো একাদশে তিন পেসারের পক্ষে।
সোমবার ভার্চুয়াল কনফারেন্সে সে পরিকল্পনার কথাই জানিয়েছেন- ‘কোনো সন্দেহ নেই, আমরা ওয়ানডেতে সব সময় তিন পেসার খেলাতে চাই। এই মুহূর্তে দলে দারুণ কিছু তরুণ পেসার আছে। শরিফুল, হাসান আছে। রুবেল, মুস্তাফিজ খুব ভালো বোলিং করছে। উন্নতির ছাপ আছে তাসকিনের বোলিংয়ে। জায়গার জন্য অনেকেই লড়াই করছে। ওদের ওয়ানডে খেলার সুযোগ আমাদের করে দিতে হবে। কেবল স্পিন নির্ভর একটা দলে পরিণত হতে পারি না আমরা।’
৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এবং তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলতে আগামী মার্চে নিউজিল্যান্ড সফর করবে বাংলাদেশ দল। যে কন্ডিশনে পেস শক্তি না বাড়িয়ে উপায় নেই। তার পূর্ব প্রস্তুতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজ থেকেই নিতে চান বাংলাদেশ দলের দক্ষিন আফ্রিকান হেড কোচ- ‘এই সিরিজের ৬ সপ্তাহের মধ্যে আমাদের নিউজিল্যান্ডে যেতে হবে। সেখানে আমরা কেবল একজন স্পিনার খেলাব। তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য আমাদের পেসারদের তৈরি করতে হবে। তিন পেসার ছাড়া আমি কোনো ওয়ানডে খেলব না।’
এই শীত মওশুেমে উপমহাদেশের উইকেটে পেসারদের জন্য করনীয় কিছু আছে বলেই ২০ ওভার স্পিনারদের জন্য রেখে অবশিষ্ট ৩০ ওভার পেসারদের দিয়ে করানোর কথা ভাবছেন ডোমিঙ্গো-‘পেস, না স্পিন নির্ভর দল, তা নির্ভর করবে কন্ডিশনের উপর। আমাদের আছে সাকিব,যে ১০ ওভার বল করবে। উপমহদেশে আর একজন পুরোপুরি স্পিনার দরকার। উপমহাদেশে ২০ ওভার স্পিন করতে চাইবে যে কেউ। হতে পারে এক অথবা ২ জন পার্টটাইম স্পিনার। যেহেতু এখন শীতকাল, খেলা শুরু হবে সাড়ে ১১টায়। প্রথম ঘন্টায় কিছুটা মুভমেন্ট থাকবে। উইকেটে পেসারদের জন্য করনীয় কিছু আছে বলেই পর্যাপ্ত সংখ্যক পেসার নিশ্চিত করতে হবে।’