দেশে মোট জনসংখ্যা নির্ধারনে জনশুমারির জন্য আগামী ২৫ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ঘোষিত তারিখে মূল শুমারি অনুষ্ঠিত হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই সারাদেশের মানুষকে গণনার আওতায় নিয়ে আসা হবে।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান (বিবিএস) ভবনে এ উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে জোনাল অপারেশন (প্রথম) প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। প্রধান অতিধি হিসেবে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে বলা হয়, সারাদেশের ১৪৪ জন জোনাল কর্মকর্তা এ প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন। জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ কার্যক্রম ৪টি পর্যায়ে সম্পন্ন হবে, জোনাল অপারেশন পরিচালনা, শুমারির তথ্য সংগ্রহ, পিইসি জরিপ পরিচালনা ও আর্থ-সামাজিক ও জনতাত্ত্বিক জরিপ পরিচালনা।
জোনাল অপারেশন প্রথমে মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরিচালিত হবে। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সঠিক তথ্যের কোনও বিকল্প নেই। টিম ওয়ার্ক করতে হবে। প্রচার প্রচারণা ব্যাপকভাবে চালাতে হবে।
মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, চলতি মাসেই মূল শুমারি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ডিভাইস ব্যবহার করে ধৈর্য্য সহকারে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। সঠিক পরিসংখ্যান ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটায়।
প্রকল্প পরিচালক কবির উদ্দিন বলেন, জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১ মোট ৪টি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলো পর্যায়-১, এর আওতায় শুমারির ব্লক এলাকা প্রণয়ন, জিআইএস পদ্ধতি ব্যবহার করে দেশের সব এলাকা ম্যাপ ও জিও কোডের আওতায় স্বতন্ত্র সনাক্তকরণ মাধ্যমে চিহিৃত করা হবে।
পর্যায় ২-এর আওতায় শুমারি পরিচালনা দেশের সব খানা, ব্যক্তি এবং আবাসন ইউনিট গণনা করা হবে। পর্যায়-৩ এর আওতায় শুমারি পরবর্তী জরিপ পরিচালনা শুমারির গূণগতমান পরিমাপ করা হবে। পর্যায়-৪ এর আওতায় আর্থ-সামাজিক ও জনমিতিক জরিপ পরিচালনা খানা ও জনসংখ্যা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে।