নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতাগ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।
আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নিচ্ছেন বাইডেন ও তার টিম। নতুন প্রশাসন এলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে এ বিষয়ে বাংলাদেশি একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সাক্ষাৎকারে মিলার বলেছেন, আমার মনে হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক শুধু শক্তিশালীই হবে। আমি এটা ছাড়া আর কোনও বড় পরিবর্তন দেখছি না।
তবে নতুন প্রশাসন কেমন নীতি গ্রহণ করবে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। পরিচিত অনেকেই বাইডেনের মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে চলেছেন জানিয়ে রবার্ট মিলার বলেন, তাদের অনেকেরই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় সত্যিকারে মনোযোগ রয়েছে।
বাইডেন প্রশাসন ইন্দো-প্যাসিফিক পরিকল্পনা (আইপিএস) এগিয়ে নেবে কি না জানতে চাইলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমার তেমনটাই মনে হয়। এটা কোন নামে ডাকা হচ্ছে, কীভাবে পুনরায় ব্র্যান্ডিং করা হবে- সেসব কোনও বিষয় না। যুক্তরাষ্ট্রের নজর থাকবে এই অঞ্চলে শক্তিশালী হওয়ায়।
সাক্ষাৎকারে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও কথা বলেছেন রবার্ট মিলার। তার মতে, রোহিঙ্গারা ‘নিরাপদে, সম্মানজনকভাবে এবং স্বেচ্ছায়’ যেন নিজদেশে ফিরে যেতে পারে, সেজন্য মিয়ানমারের ওপর যৌথভাবে চাপ দিতে হবে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, মিয়ানমারের ওপর চাপ থাকতে হবে। বাংলাদেশের কাঁধে এত বড় বোঝা চাপিয়ে দেয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেক দাতা এগিয়ে এসেছেন। আমরা অন্যদেরও সঙ্গে দেখতে চাই।
জেনেভা-জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলোতে বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গাদের সমর্থন করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশগুলোকে আরও সোচ্চার দেখতে চায় বলেও জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত মিলার।