এবারের আদম শুমারিতে নতুন পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে হিজড়া সম্প্রদায়। নারী বা পুরুষ নয়, এবারের আদম শুমারিতে প্রথমবারের মত লৈঙ্গিক পরিচয়ে গণণা করা হবে তাদের।
সরকার বলেছে, দেশে হিজড়া সম্প্রদায়ের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব হলে তাদের জীবনমান উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণ করা সহজ হবে। হিজড়ারা বিষয়টিকে ভাল নজরে দেখলেও খুব বেশি খুশি না। তারা মনে করেন, এরকম বেশ কিছু উদ্যোগ আগেও নেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে, কিন্তু তাদের জীবনের কোনও পরিবর্তণ আসেনি।
এ বছরই অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ আদম শুমারি। লৈঙ্গিক স্বীকৃতি পাওয়ার পর এবার আদম শুমারিতে হিজড়ারা পুরুষ-নারীর পাশাপাশি হিজড়া লিঙ্গ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন। সমাজসেবা অধিদফতরের হিসেবে দেশে হিজড়ার সংখ্যা ১০ হাজারের কিছু বেশি। তবে এই সংখ্যা অনেকটা অনুমাণ নির্ভর। হিজড়াদের মতে, সারাদেশে তাদের সংখ্যা লাখের কম নয়।
সংখ্যার এই বিভ্রান্তি দূর করতে, ২০২১ সালের আদম শুমারিতে প্রথমবারের মত নারী-পুরুষের বাইরে হিজাড়া হিসেবে অন্তর্ভুক্তির এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলেন, বিভিন্ন ডেরাতে যে গুরু মা থাকে তাদের কাছে কিন্তু সঠিক সংখ্যা আছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে যদি আদম শুমারি করা হয় তাহলেই সঠিক সংখ্যাটা পাওয়া যাবে।
সরকারসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তারা মনে করছেন, হিজড়া জনগোষ্ঠীর সঠিক সংখ্যা জানা গেলে তাদের জীবনমান উন্নয়নে পরিকল্পনা মাফিক প্রকল্প গ্রহণ করা সহজ হবে। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এই আদম শুমারির ফলে তাদের সংখ্যা সম্পর্কে আমাদের একটি সম্মুখ ধারণা হবে।
এতে বাজেট করার সময় আমাদের তাদের কতটা অনুদান দেওয়া যায় তা নির্ধারণ সহজ হবে। এখন আমরা একটা অনুমানের উপর করছি। কোনও জায়গায় যদি তাদের সংখ্যা বেশি থাকে তাহলে আমরা সেই অনুযায়ী তাদের সেবা দিতে পারব।
তবে, বারবার নানা উদ্যোগের কথা শুনে অভ্যস্ত হিজড়াদের নতুন কোনও পরিকল্পনায় খুব বেশি আস্থা নেই। এদিকে, পরিবার বিচ্ছিন্ন ও ভাসমান জীবনযাপন করায়, তাদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয়েও সংশয় রয়েছে জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর।
সূত্র: ডিবিসি নিউজ।