ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজের জন্য চমক জাগানিয়া দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
২০ জনের দলে যেখানে ৯ জনই নবাগত। দলে নেই শান মাসুদ, হারিস সোহেল ও মোহাম্মদ আব্বাস। এমন দল দেখে বিস্মিত দেশটির সাবেক তারকারা। ‘এলাকার ক্রিকেটার’ নিয়ে গড়া দলের কাছেও পাকিস্তানের এই দল হারবে বলে মনে করেন দেশটির উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান কামরান আকমল।
পাক দল নিয়ে এমন ঝাঁজালো সমালোচনা করেও ক্ষান্ত হননি কামরান। এই দলের ব্যাখ্যায় স্বদেশি কিংবদন্তি অধিনায়ক ইমরান খানের ২০১৯ বিশ্বকাপে ব্যবহৃত ‘রাইল্লু কাত্তা’ শব্দটি টেনে এনেছেন কামরান।
সেই সময় ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের ম্যাচের আগে ইমরান টুইটে লিখেছিলেন– ‘সরফরাজ আহমেদের উচিত বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান বা বোলার নেওয়া। জেতার মতো আক্রমণাত্মক কৌশল নেওয়া। কারণ রাইল্লু কাত্তারা চাপের মুখে খুব কমই ভালো খেলতে পারে।’
ইমরানের ওই টুইট সে সময় আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। বিশেষ করে রাইল্লু কাত্তা শব্দটি নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। ‘রাইল্লু কাত্তা’ শব্দ দিয়ে পাকিস্তানে মুটিয়ে যাওয়া ষাঁড়কে বোঝানো হয়, যেটি কোনো কাজে আসে না। ওই টুইটে যেসব খেলোয়াড়ের কোনো লক্ষ্য নেই, মাঠে পারফরম করতে পারে না; কিন্তু একাদশে ঠাঁই পান¬ তাদের বুঝিয়েছিলেন ইমরান খান।
পাকিস্তানের এই দলকে নিয়ে শুক্রবার কামরান আকমল বলেন, ‘এটি টেস্ট ক্রিকেট, কোনো দ্বিতীয় গ্রেডের খেলা নয় যে, আপনি রাইল্লু কাত্তাদের দিয়ে কাজ চালিয়ে নেবেন। প্রধান নির্বাচক যখন বলেন, দলে নেওয়া ব্যাটসম্যানদের অনেকে বোলিংও করতে পারেন, শুনে হাসি পায়। কারণ টেস্ট ক্রিকেটের জন্য এটি হাস্যকর। এই ফরম্যাটে আধা বোলার বা আধা ব্যাটসম্যান নিয়ে লাভ নেই, এখানে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান-বোলার দরকার হয়।’
প্রোটিয়াদের বিপক্ষের দলে হারিস সোহেল ও আবদুল্লাহ শফিকের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কামরান। তার দাবি, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলা উসমান সালাউদ্দিনের সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল।