তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সাত দিনেরে মধ্যে মহামারি করোনাভাইরাসের টিকার অ্যাপ চালু হবে।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ৯০ শতাংশ সরকারি সেবা ডিজিটালাইজড করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। মানুষ সেবার পেছনে ছুটবে না, সেবা পৌঁছে যাবে মানুষের হাতের মুঠোয়।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি অডিটোরিয়ামে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ১২ বছর” উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১২ বছরে দেশে একটি শক্তিশালী আইসিটি অবকাঠামো তৈরি হয়েছে, যা গ্রাম এলাকা পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে।
দেশের ৩ হাজার ৮০০ ইউনিয়ন এখন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির আওতায় এসেছে। ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য ইন্টারনেট নিশ্চিত করা হবে বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, আইসিটি অবকাঠামো গড়ে তোলার কারণে করোনা মহামারিকালে অনলাইনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অফিস-আদালত, চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা ও ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনোদন এমনকি কোর্টের কার্যক্রমও চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে। সরকার করোনা পোর্টাল, কোভিড ট্রেসার, কোভিড-১৯ ট্র্যাকার, ফুড ফর ন্যাশন, হেলথ ফর নেশনসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে করোনা মোকাবিলা করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৮শ’ সরকারি সেবাকে ডিজিটালাইজড করার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ৬০০টি সেবা ডিজিটাল সেবায় রূপান্তর করা হয়েছে। সরকার অফিসের কার্যক্রমে কাগজ ও কালমের ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ই-অফিস কার্যক্রম চালু করেছে। এরই অংশ হিসেবে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি অফিসে কাজের গতিশীলতা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি চালু করতে ই-নথি চালু করা হয়। বর্তমানে ৮ হাজারেরও বেশি অফিসের প্রায় ৯০ হাজারেরও অধিক কর্মকর্তা ই-নথি ব্যবহার করছে। আজ পর্যন্ত এক কোটি ৪৩ লাখ ফাইল ই-নথি সিস্টেমের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে।
পলক বলেন, সৌদি আরবে ১৫টিসহ দেশের মোট ৮ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ স্থাপন করা হয়েছে। আরও ৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব নির্মাণের কার্যক্রম চলছে। ৩০০টি স্কুল অব ফিউচার স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিগত ১২ বছরে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১৫ লাখ মানুষকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে আইসিটি খাতে কমর্সংস্থানের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ২০ লাখে। তিনি বলেন, র্স্টাটআপ ও উদ্ভাবনী সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য ৪৪টি র্স্টাটআপ প্রতিষ্ঠানের ১১৮ জন স্টার্টআপ প্রতিনিধিকে কো-ওয়ার্কিং স্পেস বরাদ্দ এবং ১৩৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব তেরি করা হয়েছে।