প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত ইতালিতে ফাইজার ও বায়োএনটেকের করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে। গত ২৭শে ডিসেম্বর থেকে প্রথম ধাপে প্রায় ৯ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্ক মানুষের শরীরে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে ইতালি।
তার মধ্যে ইতালিতে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে করোনার টিকা গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশি স্বর্না রহমান। তিনি ভেনিসের ‘সান পাওলো মনফালকোন’ হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জের দোহারে।
এদিকে, গত ১০ই জানুয়ারি আরেক বাংলাদেশি হাসান (২৫) করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। দেশটির মিলান শহরের সানপাওলো হাসপাতালে করোনা টিকা নেন তিনি। হাসান শরীফ ২০১১ সন থেকে মিলান সানপাওলো হাসপাতালে রোগীদের খাদ্য সেবায় নিয়োজিত।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া মহামারী করোনা ভাইরাসের আক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে ইতালি যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়।
ধাপে ধাপে লকডাউন, জরুরি অবস্থা, বিধিনিষেধ আরোপ করে দেশটির সরকার। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ইতালিতে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশীসহ প্রাণ হারিয়েছে ৮০ হাজার ৩২৬ জন।
তবে ইতালি সরকারের সর্বোচ্চ চেষ্টায় দেশটি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। ইতালিতে দুই ধাপে প্রায় ১৫ হাজার করোনা টিকা দেয়া হয়েছে। ইতালি সরকার বলছে, খুব শিগগিরই সাধারণ জনগণকেও করোনা ভ্যাকসিন দেয়া হবে।
ইতালিতে প্রায় ৩০০টি ভ্যাকসিন বিতরণ সাইট থাকবে। টিকা দেয়ার প্রচারণা চরম পর্যায়ে এলে তা বেড়ে ১ হাজার ৫০০ করা হবে।
মিলানের ভার্টিকাল ফরেস্ট আকাশচুম্বী নকশার জন্য বিখ্যাত বোয়েরি বলেছেন, মণ্ডপগুলি সৌর শক্তি দিয়ে চালিত হবে এবং কাঠ ও ফেব্রিকের মতো পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ দিয়ে নির্মিত হবে।