কয়েকদিন আগে ওয়াকার ইউনিস ও মিসবাহ-উল-হকের কোচিং সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেন মোহাম্মদ আমির। সে সময় তাদের তিনি আহবান জানান ড্রেসিং রুমের ভীতি জাগানিয়া সংস্কৃতি বন্ধ করার। তার মন্তব্য শুনে ওয়াকার দুঃখ পেয়েছেন জেনে নিজের ভালো লাগার কথাও অকপটে এবার বললেন আমির। এর সঙ্গে সদ্যই অবসরে যাওয়া এ পেসার জানিয়েছেন, আমি বুল কথা বলিনি। সবই সত্য বলেছি।
গত মাসে আচমকাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান আমির। সেসময় আলাদা করে তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করান দলের বোলিং কোচ ও পাকিস্তানের পেস বোলিং কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনুসকে। তবে সংবাদ সম্মেলনে আমিরের সব দাবি উড়িয়ে দেন ওয়াকার ও প্রধান কোচ মিসবাহ। আমির সব বানিয়ে বলেছেন বলে পাল্টা দাবি করেন মিসবাহ, প্রশ্ন তোলেন পাকিস্তান দলের প্রতি তার নিবেদন নিয়ে।
বৃহস্পতিবার লাহোরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রধান কোচের এসব মন্তব্যের জবাব দেন আমির, ‘আমি কোনো ভুল কথা বলিনি, সবই সত্যি বলেছি। পারফরম্যান্স এখানে কোনো ঘটনাই নয়, কারণ আমি জানি যে আমার সামর্থ্য আছে শক্তভাবে ফেরার। কিন্তু ব্যাপারটি হলো, তারা যেরকম মানসিক নির্যাতনের ভেতর ক্রিকেটারদের ঠেলে দেয়।’
আমির আরও বলেন, ‘ক্রিকেটারদের একটু মুক্তভাবে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ দিন, স্বাধীনতা দিন। ড্রেসিং রুমের এই ভীতি জাগানিয়া আবহ সরিয়ে ফেলুন। দেখবেন, ক্রিকেটাররা পারফর্ম করবে ও ম্যাচ জেতাবে।’
মিসবাহ অবশ্য জানিয়েছিলেন আমিরকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তে ব্যক্তিগত কোনো ক্ষোভ নয়। কিন্তু আমির বললেন উল্টোটা, ‘বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ২১ উইকেট নেওয়ার পরের ম্যাচেই আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এটা যদি ব্যক্তিগত ইস্যু না হয়, তাহলে কোনটি ব্যক্তিগত? আমার গতি কিছুটা কমে গিয়েছিল কারণ আমি পুরো ফিট ছিলাম না এবং ক্লান্ত ছিলাম। কিছুদিন আগে আমি লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে খেলতে গেছি তরতাজা হয়ে। সেখানে ১৪৫ কিলোমিটার (৯০ মাইলের বেশি) গতিতে বোলিং করেছি।’
পাকিস্তানের এই দুই কোচের মানসিকতা দুইরকম বলেও অভিযোগ করেছেন আমির, ‘এক কোচ বলেন, গতি কোনো ব্যাপার নয়, ২০ উইকেট নিতে পারাই গৃরুত্বপূর্ণ (ওয়াকার)। আরেক কোচ বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গতি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কার কথা বিশ্বাস করব আমরা? আগে নিজেরা ভাবুন যে কী বলতে চান, তার পর আমিরকে শেখাতে আসবেন।’