করোনা ভাইরাসকে ‘বৃটিশ ভাইরাস’ বলে মন্তব্য করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল। এ বিষয়ে তিনি জার্মানিকে সতর্ক করেছেন। বলেছেন, তাদেরকে অবশ্যই এই বৃটিশ ভাইরাস থামাতে হবে। না হলে ইস্টারের আগেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ গুন বৃদ্ধি পেতে পারে। ওদিকে করোনা ভাইরাসের হটস্পটগুলোতে কফিনের স্তূপ দেখা গেছে। এর প্রেক্ষিতে জার্মানিতে বর্তমানের লকডাউন এপ্রিল পর্যন্ত বহাল থাকতে পারে বলে তিনি সতর্ক করেছেন সবাইকে। বলেছেন, তার দেশে ‘বৃটিশ ভাইরাসকে’ নিয়ন্ত্রণ করতে কমপক্ষে ১০ সপ্তাহ সময় লাগবে। উল্লেখ্য, এর আগে করোনা ভাইরাসকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ‘চায়না ভাইরাস’ হিসেবে অভিহিত করে বেশ সমালোচিত হয়েছেন।
তার এমন মন্তব্যকে বর্ণবাদী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়, অ্যাঙ্গেলা মারকেল তার রক্ষণশীল দলের আইন প্রণেতাদের বলেছেন, নতুন ধরনের যে করোনা ভাইরাসের স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়েছে তা অনেক বেশি সংক্রামক। এই ভাইরাস প্রথম দেখা দেয় বৃটেনে। সেখান থেকে তা ইউরোপের মূল ভূখণ্ডে ছড়িয়ে পড়েছে।
জার্মানির মিসেনে স্যাক্সোনি শহরে বিভিন্ন অফিসে এবং করিডোরে স্তূপ মৃতদেহের কফিন। সেখানে মৃতদেহ দাহের কাজে নিয়োজিত একজন ম্যানেজার বলেছেন, তারা দিনে ৬০টি করে মৃতদেহ দাহ করছেন। জার্মানিতে সবচেয়ে ভয়াবহভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত ১০টি কাউন্টির মধ্যে স্যাক্সোনি অন্যতম। অ্যাঙ্গেলা মারকেল সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার বৈঠক করেছেন। এদিন তিনি বৃটেনের নাম উচ্চারণ না করে পারেননি। তার দেশের পত্রিকা বিল্ড লিখেছে- তিনি বলেছেন, আমরা যদি এই বৃটিশ ভাইরাসকে থামাতে না পারি তাহলে ইস্টারের আগেই আক্রান্তের সংখ্যা ১০ গুণ বৃদ্ধি পাবে।
ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন তিনজন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর কথা বলেননি মারকেল। এ ছাড়া জার্মানিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ গুণ বৃদ্ধি পাওয়া নিয়েও তিনি সতর্ক করেননি। তিনি বলেছেন, যদি বৃটিশ ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার ঘটে জার্মানিতে, তবে সামনের আট থেকে ১০ সপ্তাহ জার্মানির জন্য খুব কঠিন হবে।