গত ডিসেম্বরে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে করোনা ভ্যাকসিন দেয়া শুরু করে ব্রিটেন। বর্তমানে ৪০টিরও বেশি দেশ তাদের জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু করেছে। ভ্যাকসিনেশন ডেটা থেকে বোঝা যায়, সমৃদ্ধ এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলো প্রায় সমস্ত উপলব্ধ ভ্যাকসিন কিনে নিয়েছে।
যদিও সবার আগে অনুমোদিত হয়েছে মার্কিন দুই প্রতিষ্ঠানের ভ্যাকসিন এবং সবার আগে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করেছে ব্রিটেন। তবে ভ্যাকসিন প্রয়োগের হারে দুই দেশের কোনটিই শীর্ষে নেই। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি গবেষণা ওয়েবসাইট ‘আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডেটা’র সংকলিত তথ্য অনুসারে, ভ্যাকসিন দেয়ার হারের দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে ইসরাইল। সেখানে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ২০ জন নাগরিকই ভ্যাকসিনের একটি করে ডোজ পেয়েছেন। এই পরিসংখ্যানটি বিশ্বের অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি। দেশটির ডিজিটালাইজড স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এবং পুরো জনসংখ্যাকে দেয়ার মতো যথেষ্ট পরিমাণ ভ্যাকসিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারের প্রাথমিক সাফল্যের জন্যই এটি সম্ভব হয়েছে।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। সেখানে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাহরাইন (৪ দশমিক ২৫ শতাংশ)। চতুর্থ অবস্থানে ব্রিটেন ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশ দুইটিতে ভ্যাকসিনেশনের হার যথাক্রমে ১ দশমিক ৯১ ও ১ দশমিক ৭০ শতাংশ। সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার।