লাদাখে চীনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। তার দাবি, ভারতের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন এবং পাকিস্তান। দুই প্রতিবেশী দেশের এই যোগসাজশ মোটেই উপেক্ষা করার মতো নয়।
মঙ্গলবার আর্মি ডে উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের সেনাপ্রধান বলেন, ‘পাকিস্তান এবং চীন দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় বিপদ। আর এই দুই দেশের যোগসাজশ উপেক্ষা করার মতো নয়।’ লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত এলাকা নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে। সেনা জওয়ানরা অনেক উচ্চতর এলাকায় টহল দিচ্ছে। এবং জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থে কোনওভাবেই ওই এলাকাগুলি থেকে ভারতীয় সেনা সরবে না।’ চীন ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কোনও এলাকা দখল করে রেখেছে কিনা সে প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিলেও সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, তার আশা আলোচনার মাধ্যমে লাদাখ সমস্যার সমাধান সম্ভব। আর সেটা না হলে, সেনা সমস্তরকম ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত। জেনারেল নারাভানে এদিন বলেন, ‘পাকিস্তান এবং চীন যৌথভাবে ভারতের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এদের যোগসাজশ থেকে বিপদের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’ সেনাপ্রধান এদিন সাফ জানিয়েছেন, ভারতকে দ্বিমুখী লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
প্রসঙ্গত, লাদাখের পরিস্থিতি যে খুব একটা অনুকূলে নয়, দিন কয়েক আগে সেটা স্বীকার করেছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। রাজনাথ স্বীকার করে নেন, গত কয়েক মাস ধরে চীনের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পরও দু’দেশের সম্পর্কের কোনও উন্নতি হয়নি। সীমান্ত সমস্যার সমাধান হওয়া তো দূরের কথা, উল্টো নিজেদের এলাকায় পরিকাঠামো তৈরির কাজ করছে তারা। তাই এখনই লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘চীন নিজেদের সীমান্তে বহু পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করছে। যার জবাবে ভারতকেও বাহিনীর জন্য দ্রুততার সঙ্গে পরিকাঠামো উন্নয়ন করতে হচ্ছে।’ সব মিলিয়ে পরিস্থিতি নিয়ে ভারত উদ্বেগে রয়েছে, রাজনাথ ও সেনাপ্রধানের কথায় তা স্পষ্ট।
সূত্র: ইকোনমিক টাইমস।