খেলাধুলায় ফিটনেস পরীক্ষায় ইয়ো ইয়ো টেস্টের প্রচলন ১৯৯০ সাল থেকে। সেখানে ক্রিকেটে ইয়ো ইয়ো টেস্টের প্রচলন শুরু ২০১৭ সালে। শুরুটা করেছেন ভারতের স্ট্রেন্থ এন্ড কন্ডিশনিং কোচ শংকর বসু।
অ্যাথলিটদের মতো ক্ষীপ্র করে তুলতে ইয়ো ইয়ো টেস্ট এখন অধিকাংশ টেস্ট দেশে প্রচলিত। ক্রিকেটারদের মধ্যে ইয়ো ইয়ো টেস্টে সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ডটা এখনো ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায় অ্যালিস্টার কুক এর (২২.৩)। পাকিস্তানের সান মাসুদের স্কোর সেখানে ২২.২, রাবাদার ১৯.২।
সেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষায় বছরের পর বছর ধরে চলছে বিপ টেস্ট।বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপকে সামনে রেখে ক্রিকেটারদের বিপ টেস্টে পাস মার্ক ছিল ১১। সেই মানদন্ডই বেশ ক’জন পারেনি ছুঁতে।কেউ আবার বিপ টেস্টে উত্তীর্ন না হয়েই খেলার অনুমতি পেয়েছ। বিপ টেস্টে সর্বোচ্চ স্কোর ১৩.৭ নিয়েই হয়েছে কতো হৈ চৈ !
তবে প্রচলিত পদ্ধতির বিপ টেস্ট নয়, এখন থেকে ক্রিকেটাদের ফিটনেস পরীক্ষায় হবে ইয়ো ইয়ো টেস্ট। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ফিজিক্যাল পারফরমেন্স এর প্রধান ইংলিশ ফিটনেস ট্রেনার নিক লি ক্রিকবাজকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন-‘যে পদ্ধতিতে আমাদের ফিটনেস টেস্ট হয়েছে, তা নিয়ে আমি একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। অন্য ১০টি জাতীয় দলের ফিটনেসের বেঞ্চমার্ক ইয়ো ইয়ো টেস্ট।তাই এখানে অন্যসব দেশ থেকে যেসব ট্রেনার আসছে, তাদের জন্য কাজ করতে এটা সহজ হবে। আমার জানামতে সেরা ১০টি দেশের মধ্যে একমাত্র এদেশেই ইয়ো ইয়ো টেস্টের বাইরে আছে।’
ইয়ো ইয়ো টেস্ট বাংলাদেশে প্রবর্তনের আগে ইংল্যান্ড,পাকিস্তান থেকে তথ্য নিতে চান নিক লি-‘ ইয়ো-ইয়ো টেস্ট সম্পর্কে এখন আমাদের কাছে কিছু ডাটা আছে। আমরা ইংল্যান্ড, পাকিস্তানের নির্বাচকদের কাছ থেকে তাদের খেলোয়াড়দের ফিডব্যাকটা নিতে পারি।দ্বিতীয় কারণ, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমি বিশ্বাস করি যে ইয়ে-ইয়ো পরীক্ষাটি চারপাশের অ্যাথলেটিক ক্ষমতাগুলি পরিমাপ করার ক্ষেত্রে আরও ভাল পরীক্ষা। বিপ টেস্টটি কেবল বায়বীয় কন্ডিশনিংকে ফোকাস করে। ইয়ো-ইয়ো পরীক্ষাটি কিছুটা দ্রুত এবং এটি বিরতিহীন এবং তাই এটি আরও খেলাধুলার মতো এবং কারণ এটি দ্রুত চলে।’