সেইসাথে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত দিহানের তিন বন্ধুকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। রবিবার, মামলার অগ্রগতি নিয়ে এসব তথ্য দিয়েছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজাদ্দুর রহমান।
আনুশকা হত্যাকান্ডের ঘটনায় একজনকে আসামি করা নিয়ে দ্বিধায় পরিবার। দিহানের বয়স কমিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও সন্দেহ তাদের। আগে থেকে দিহানের সাথে কোন সম্পর্ক ছিলো না বলেও দাবি পরিবারটির।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ বলছে, গেল নভেম্বর থেকে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। আর হাসপাতালের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই মামলায় নিহতের বয়স প্রাথমিকভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
ডিএমপি রমনা বিভাগ উপ পুলিশ কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বলেন,’এ্যাডভোকেটের উপস্থিতিতেই এজহার তৈরী করে এবং সেখানে উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী আমরা মামলা রেকর্ড করেছি। এটা তদন্তাধীন বিষয় তারপরও আমরা যে তথ্য পেয়েছি, তা হচ্ছে তাদের মধ্যে অন্তত দুমাস ধরে সম্পর্ক চলছিলো।’
আটক দিহানের তিন বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হলেও পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে তারা। ডিএনএ পরীক্ষায় তাদের সম্পৃক্ততা পেলে নেয়া হবে ব্যবস্থা।
সাজ্জাদুর রহমান আরও জানান,’ফরেনসিক রিপোর্টে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে তবে অবশ্যই তারাই (দিহানের তিন বন্ধু) সন্দেহের তালিকায় থাকবে।’
কারাগারে থাকা আসামি দিহানের পক্ষে এখনও কোন আইনজীবী নিয়োগ করেনি তার পরিবার। বৃহস্পতিবার গ্রুপ স্টাডির কথা বলে কলাবাগানে বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় আনুশকা নূর আমিনের। ওই দিনই ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দিহানের বিরুদ্ধে মামলা করে আনুশকার পরিবার।