প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, প্রত্যেকেরই বাক স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে, কিন্তু সেই স্বাধীনতা তখনই শেষ হয় যখন কেউ মিথ্যা ছড়ায় যা অন্যের ক্ষতি করে।
টুইটার এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি এবং সংস্থাকে নিষিদ্ধ করেছে যারা মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতার সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্যের ক্ষতি করার অধিকার কারও নেই।’
এটিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাকস্বাধীনতার সীমা, বলেন তিনি।
আজ (শনিবার) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় লেখেন, ‘আমি চাই ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এবং পশ্চিমা অন্য দূতাবাসগুলো এই পোস্ট থেকে নোট নিক। আমরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বাক স্বাধীনতা নিয়ে আপনাদের কাছ থেকে আর ভণ্ডামিপূর্ণ বিবৃতি দেখতে চাই না।’
বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে যারা অভিযোগ করেন তাদের উদ্দেশ্যে জয় বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও আদেশ জারির ক্ষমতা দেয়। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে এই সিদ্ধান্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নয়, হওয়া উচিত আদালতের।’
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার আমেরিকার আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটল হিলে ঢুকে পড়া এবং হামলার ঘটনায় ফেসবুক ও টুইটার থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পোস্ট বন্ধ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য অধিবেশন চলার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত শত সমর্থক এ হামলা চালায়।
পরে ফেসবুক ঘোষণা করে যে তারা ২৪ ঘণ্টা ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেসবুক পেজ থেকে কোনো পোস্ট অনুমোদন করবে না।
এর আগে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ১২ ঘণ্টার জন্য লক করে দেয় টুইটারও এবং ঘোষণা দেয় যে পরবর্তীতে সংঘর্ষ হলে তারা স্থায়ীভাবে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেবে।
টুইটার জানায়, ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্টগুলো ডিলিট করা হয়েছে। যদি সেগুলো থাকে তাহলে তার অ্যাকাউন্টের নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়ানো হবে।
এছাড়া ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম জানায়, তাদের দুটি নীতি ভঙ্গ করার কারণে ২৪ ঘণ্টা ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনো পোস্ট দিতে পারবেন না। যদিও ফেসবুকের এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে হোয়াইট হাউজ কোনো মন্তব্য করেনি।
ট্রাম্প সমর্থকদের ওই হামলার ঘটনায় চারজন নিহত হয়।