করোনার ধাক্কা কিছুটা সামলে চলতি বছর গতি ফিরবে বিশ্ব অর্থনীতিতে- এমন পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের। আসবে বৈশ্বিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। সংস্থাটির মতে, মহামারিতে বিপর্যস্ত দেশগুলোকে আরও পরিবেশবান্ধব, দক্ষ ও ন্যায্য উন্নয়নের পথ অনুসরণের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। তবে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে চালকের আসনে থাকবে ভ্যাকসিন আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ। বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস’ প্রতিবেদন বলছে, ভ্যাকসিনেশন চালুর মাধ্যমে অর্থনীতিতে দেখা মিলবে আবারও সুর্বণ রেখা।
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট আয়হান কোজ বলেন, কার্যকরী ভ্যাকসিনের মাধ্যমে, করোনার ভয়াবহতা রোধ করতে হবে। রক্ষা করতে হবে বিশ্ববাসীকে। বিষয়টি ভাববে হবে নীতি-নির্ধারকদের। যাতে বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন সহজলভ্য হয়। যাতে এর সুফল পেতে পারেন সাধারণ মানুষ।
মহামারীর প্রভাব পড়েছে, উন্নয়নশীল দেশে। কমেছে মাথাপিছু আয়। দরিদ্র্য হয়ে পড়েছেন কোটি কোটি মানুষ। ঋণের বোঝায় জর্জরিত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সামনে ঘুরে দাঁড়ানোই বড় চ্যালেঞ্জ।
আয়হান কোজ বলেন, বিদায়ী বছরে সিংহভাগ দেশের মাথাপিছু আয় কমেছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নয়ন কার্যক্রম থমকে গেছে। অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতি আসলেও বিভিন্ন দেশে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকবে। সহযোগিতা জোরদারের মাধ্যমে অর্থনীতিতে গতি ফিরিয়ে আনতে হবে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, গেল বছর ৪ দশমিক ৩ শতাংশ সংকোচনের পর বৈশ্বিক অর্থনীতি আবারও ইতিবাচক ধারায় ফিরছে। তবে এ প্রবৃদ্ধির হার নিয়েও আছে অনিশ্চয়তা।