অ্যাথলেটিক ক্লাব বিলবাওয়ের মাঠে ম্যাচের তিন মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনা। তবে এরপরেই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় কাতালান দলটি। দুর্দান্ত আক্রমণে বিপর্যস্ত করে রাখে বিলবাওয়ের গোটা দলকে। শেষ পর্যন্ত লিওনেল মেসির জোড়া গোলে ৩-২ ব্যবধানের জয় নিয়ে ফেরে বার্সা। এই জয়ে বার্সেলোনা লিগ টেবলের তিনে উঠে এসেছে।
বিলবাওয়ের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে লা লিগায় নিজেদের শেষ চার ম্যাচের দুটিতে জয় ও ড্র করে পয়েন্ট টেবিলের বেশ নিচের দিকেই ছিল বার্সেলোনা। তাই তো শক্তিশালী বিলবাওয়ের বিপক্ষে জয় অপরিহার্য হয়ে উঠেছিল রোনাল্ড কোম্যানের দলের জন্য। আর বিলবাওয়ের বিপক্ষে প্রথমে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্ত ফুটবল খেলে ম্যাচ বের করে আনতে সক্ষমও হয়েছে কাতালান ক্লাবটি।
ম্যাচের তিন মিনিটের মাথায় রাউল গার্সিয়ার অ্যাসিস্ট থেকে ইনাকি উইলিয়ামস গোল করে অ্যাথলেটিক ক্লাব বিলবাওকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন। এরপর ১৪ মিনিটে ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ংয়ের অ্যাসিস্ট থেকে বার্সাকে সমতায় ফেরান তরুণ মিডফিল্ডার পেদ্রি। সমতায় ফিরে গোটা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণই নিয়ে নেয় বার্সা। একের পর এক আক্রমণে বিলবাওয়ের রক্ষণকে দম ফেলারও সময় দিচ্ছিল না।
ম্যাচের ৩৮ মিনিটে পেদ্রির অ্যাসিস্ট থেকে দলকে প্রথমবারের মতো লিড এনে দেন লিওনেল মেসি। আর প্রথমার্ধে ওই ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই শেষ করে বার্সা।
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৬২ মিনিটে অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যানের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় করে নেন মেসি। আর বার্সা এগিয়ে যায় ৩-১ ব্যবধানে। এর ঠিক মিনিট দশেক পর মেসির শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসলে হ্যাটট্রিক পূর্ণ হয়নি তাঁর। খেলা শেষের অন্তিম মুহূর্তে একটি গোল পরিশোধ করে অ্যাথলেটিক ক্লাব বিলবাও। তবে শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনা ৩-২ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে।
এই জয়ে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠে এসেছে কোম্যানের দল। ১৭ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে বার্সা। সমান ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। আর দুই ম্যাচ কম খেলেও ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।