ভিটামিন ডি গর্ভস্থ শিশুর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শিশুর জন্মের আগে থেকেই তার যে বুদ্ধির বিকাশ ঘটতে থাকে, তার সঙ্গে ভিটামিন ডি বিশেষভাবে সংযুক্ত। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গর্ভবতী মহিলার শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব থাকলে তার গর্ভস্থ সন্তানের বুদ্ধির বিকাশ ঠিকমতো হয় না।
আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি’র উপকারিতা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে যে গর্ভবতী মহিলার শরীরে ভিটামিন ডি’র পরিমাণ নির্ধারণ করে অনাগত সন্তানের বুদ্ধির বিকাশ কেমন হবে।
সূর্যের আলো যে ভিটামিন ডি’র সবথেকে বড় উত্স্য, তা সবাই জানেন। তাই সন্তানের আইকিউ লেভেল বাড়াতে হলে গর্ভবতী মহিলাদের গায়ে রোদ লাগানো একান্ত প্রয়োজনীয়।
জার্নাল অফ নিউট্রিশন নামে পত্রিকায় প্রকাশিত এই নিবন্ধের লেখক মেলিসা মেলাউ জানিয়েছেন, গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে ভিটামিন ডি’র অভাব অনেক সময়ই দেখা যায়। তবে সাদা চামড়ার মহিলাদের থেকে কালো চামড়ার মহিলাদের শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
নিবন্ধে তিনি লেখেন, কালো চামড়ার মানুষদের শরীরে যে মেলানিন পিগমেন্ট থাকে, তা তাদের ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। কিন্তু এই পিগমেন্ট সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিকে আটকে দেয় বলে এর ফলে কালো চামড়ার মানুষদের ত্বকে ভিটামিন ডি কম শোষিত হয়। সেই কারণে শেতাঙ্গদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গদের শরীরে ভিটামিন ডি কম বলে দাবি করেন তিনি।
এই সমীক্ষা অনুযায়ী ৪৬ শতাংশ গর্ভবতী মহিলার শরীরেই ভিটামিন ডি’র ঘাটতি রয়েছে। আর গর্ভবতী মহিলার শরীরে ভিটামিন ডি কম থাকলে সন্তানের আইকিউ লেভেল কম হবে বলে গবেষণায় দাবি করা হয়েছে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় মায়ের ভিটামিন ডি কম থাকলে চার থেকে ছয় বছর বয়সী শিশুর আইকিউ লেভেল কম হতে পারে। সেই কারণে গর্ভবতী মহিলাদের আরও বেশি করে গায়ে রোদ লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সূর্যের আলো ছাড়াও যেসব খাবার থেকে ভিটামিন ডি আপনার শরীরে শোষিত হতে পারে, সেগুলো হল – সামুদ্রিক মাছ, ডিম, গরুর দুধ, মাশরুম এবং কমলা লেবুর রস। অন্য কোনও সমস্যা না থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এসব খাবার গর্ভবতী মহিলারা খাদ্যতালিকায় বেশি করে রাখুন।