নতুন বছরের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। এদিন লেনদেনের শুরুতে মূল্য সূচকের বড় উত্থান প্রবণতা দেখা দিলেও পরে তা বড় পতনে রূপ নেয়।
মঙ্গলবার লেনদনের শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ১৭৮ পয়েন্ট বেড়ে যায় সূচকটি।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় মূল্য সূচকের এমন বড় উত্থান হলেও লেনদেনের শেষে তা
বদলে গিয়ে বড় পতন হয়েছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬০৯ পয়েন্টে নেমে গেছে।
ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৭৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৩২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৫৮ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
সবকটি মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। দিনের লেনদেন শেষে বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১১৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১৯৭টি এবং ৫০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসইতে এদিন লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৪৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা, যা ২০১০ সালের ৭ অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ। ২০১০ সালের ৭ অক্টোবর ২ হাজার ৮০১ কোটি টাকার লেনদেন হয়।
১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেনের দিনে টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে রবির শেয়ার। কোম্পানিটির ২৫৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মার লেনদেন হয়েছে ১৬৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকার। ১৩৭ কোটি ১২ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- আইএফআইসি ব্যাংক, লাফার্জহোলসিম, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, সিটি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, কেপিসিএল এবং অ্যাকটিভ ফাইন।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৩৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৫৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৯৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৪টির দাম।