পরিবেশ রক্ষায় পাটের বিকল্প আর কিছু হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বলেছেন, পাটের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)’র টেক্সটাইল কৌশল বিভাগের উদ্যোগে আইইবি সদর দপ্তরের কাউন্সিল হলে ‘স্ট্র্যাংদেনিং অব জুট ফাইবার ফর কম্পোজিট অ্যাপ্লিকেশন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং আইইবি’র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর, বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন এমপি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, আইইবি’র প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদা, আইইবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট (এইচআরডি) প্রকৌশলী মো. নূরুজ্জামান, আইটিইটি প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. শফিকুর রহমান, আইইবি টেক্সটাইল কৌশল বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এস এম সিরাজুল ইসলাম। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী ফোরকান সরকার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন, আইইবি’র সম্মানী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু), পিইঞ্জ.। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, আইইবি টেক্সটাইল কৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পরিবেশ ও অর্থনীতি বাঁচাতে বাংলাদেশে পাট উৎপাদন ও পাটপণ্যের বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে হবে। পলিথিন ও পেট্রোলিয়াম পণ্য আমাদের পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ সময়ে পচনশীল পাটের বিকল্প ভাবার সুযোগ নেই। জনগণের মধ্যে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে দৃষ্টি দেয়া উচিত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাটকে বলা হত, সবচেয়ে অর্থকরী ফসল। সেই পাট আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখন আমাদের পাটের উৎপাদন বাড়াতে হবে। পাশাপাশি পাটপণ্যের বহুমুখী উৎপাদনও বাড়াতে হবে। পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়, সেই পাটকে যেন আবার সেই জায়গায় আমরা নিয়ে আসতে পারি।