নমুনা পরীক্ষায় ২ বার করোনা পজিটিভ। স্ত্রী,সন্তান,ছোটভাইও আক্রান্ত হয়েছে করোনায়। কি কঠিন দিনগুলোই না কেটেছে মাশরাফি বিন মতুর্জার। করোনা থেকে সেরে উঠে বিসিবি থেকে শুনতে হলো, বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে নির্বাচকদের ভাবনায় নেই তিনি !
ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুশীলন শুরু করতে নেমে সিটি ক্লাব মাঠে পড়লেন হ্যামেস্ট্রিং ইনজুরিতে। এই খবরে বঙ্গবন্ধু কাপ টোয়েন্টি-২০ ক্রিকেটে প্লেয়ার্স ড্রাফটের বাইরে রাখা হলো মাশরাফিকে। ফিরলেন তিনি মাঝপথে,ফিটনেস টেস্টে উতরে,করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়ে।
এবং বঙ্গবন্ধু কাপে তার অন্তর্ভুক্তিই চাঙ্গা করলো জেমকন খুলনাকে। টোয়েন্টি-২০ ক্রিকেটে ছিল না তার ইতোপূর্বে ৫ উইকেটের কোন ইনিংস। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৫ উইকেটে (৫/৩৫) তা থাকলো না অপূর্ন। ৪ ম্যাচে ৭ উইকেট, একটি ম্যাচ বাদ দিয়ে সব ক’টিতেই মাশরাফি দ্যুতি ছড়িয়েছেন।
বয়স ৩৭, ফিটনেস এবং পারফরমেন্সে তার বয়সটা সামনে এনে প্রশ্ন তোলার কোন সুযোগ নেই। এ প্রশ্ন যেনো কখনও না ওঠে,তার জন্য নিজেকে সব সময় ফিটনেস এবং পারফরমেন্স দিয়ে তৈরি রেখেছেন বলে জানিয়েছেন।
এই প্রথম ফিট মাশরাফির হয়নি ওয়ানডে দলে জায়গা। সে কারণেই এই প্রসঙ্গটি এনেছেন তিনি। ক্রিকইনফোতে সে প্রসঙ্গটিই তুলেছেন মাশরাফি-‘আমি ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে কখনও ফিটনেস পরীক্ষায় অকৃতকার্য হইনি। কঠোর পরিশ্রমের কারণে তা সম্ভব হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি।জানতাম আমার ফিটনেস নিয়ে কথা উঠতে পারে,তাই আমি সব সময় নিজেকে ফিট রেখেছি। এমনকি বঙ্গবন্ধু কাপেও ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ন হয়েছি।আমি যেভাবে ক্রিকেট খেলেছি,তাতে আমি সন্তুস্ট।সে কারণেই ক্রিকেট খেলা চালিয়ে গেছি।’
যে ছেলেটি হাঁটুর লিগামেন্টে ৭ বার অপারেশনের পরও ক্যারিয়ার টেনে নিয়েছেন এতোদূর-ফিট থেকেও কেন ভবিষ্যতের চিন্তায় তাকে দিতে হবে বাদ ? প্রশ্নটা মাশরাফি করেননি, তবে ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে নির্বাচক,আর বোর্ডের বিপক্ষ অবস্থানে সে প্রশ্নটাই জোরালো হয়েছে।