উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো যাবেনা। তার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিতে পারে এমন কারণ দেখিয়ে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়ার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন লন্ডনের একটি আদালত।
জেলা জজ ভেনেসা ব্যারাইস্টার সোমবার সকাল ১০টায় ওল্ড বেইলি আদালতে আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষনা করেন। অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ১৮টি অভিযোগ রয়েছে। আফগানিস্তান ও ইরাকে মার্কিন হামলার বিস্তারিত তথ্যের পাঁচ লাখ ফাইল প্রকাশ করায় তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো আনা হয়।
এর আগে অ্যাসাঞ্জকে ক্ষমা করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে আহ্বান জানান জাতিসংঘের নির্যাতন বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি নিলস মেলজার। গত ডিসেম্বরে তিনি লেখেন, ‘অ্যাসাঞ্জকে ক্ষমার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট আপনি আমেরিকা ও বিশ্বের জনগণের কাছে মানবিকতা, সত্য ও ন্যায়ের বার্তা পাঠান।’
সোমবার বিচারের সময় নীল রংয়ের স্যুট এবং সবুজ মাস্ক পরে ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। বিচারক যখন তার রায় দেন তখন তিনি চোখ বন্ধ করেছিলেন। এ সময় আদলতে তার বাগদত্তা স্টেলা মোরিস, উইকিলিসের এডিটর ইন চীফ ক্রিসটিন হ্রাফসন উপস্থিত ছিলেন।
তবে ব্রিটিশ আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অস্ট্রেলীয় এই প্রকাশককে ঘিরে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা আন্তর্জাতিক আইনি বিতর্কের পর অবশেষে হস্তান্তরের রায় এলো। দক্ষিণপূর্ব লন্ডনের একটি উচ্চ নিরাপত্তাসম্পন্ন কারাগারে অ্যাসাঞ্জ বন্দী রয়েছেন। সেখানে কয়েকজন বন্দীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। অ্যাসাঞ্জ শ্বাসঃপ্রশ্বাসের সমস্যায় ভুগছেন, তাই করোনাভাইরাস সংক্রান্ত ঝুঁকি তার আরও বেশি।