দলে কোনো বিদ্রোহী প্রার্থীকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। সোমবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কড়াইল বস্তির দরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র ও মাস্ক বিতরণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী যুবলীগ একটি মানবিক সংগঠন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। করোনা মহামারীতে সারা দেশে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে যুবলীগ। প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় তার দেওয়া উপহার সামগ্রী মানুষের হাতে পৌছে দিচ্ছে যুবলীগ। এসময় যুবলীগের নতুন কমিটির পাশে থাকতে সবাইকে অনুরোধ জানান যুবলীগ চেয়ারম্যান।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল যে, একটি মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বাংলার নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। বঙ্গবন্ধু গরীব-দুঃখী মানুষকে বুকে জড়িয়ে নিয়েছেন, তাদের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে আপোষ করেন নাই, মাথানত করেন নাই।
পরশ বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের শিক্ষা দেয়, দেশপ্রেমের, অপরিসীম সাহসের, আদর্শিক চরিত্রের। এই শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে আমাদের যুবলীগ সর্বদা গরীব-দুঃখী অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। করোনা মহামারীতে বিনা পারিশ্রমিকে কৃষকের ধান কেটে দেওয়া, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত লাশের দাফন করা, কর্মহীন মানুষের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া, ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স সেবাসহ নানা ধরণের জনকল্যাণ মূলক কাজ করে যাচ্ছে যুবলীগ। এই করোনা মহামারীতে আমরা প্রায় ৪৩ লক্ষ অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি। যুবলীগের এই সাফল্যের অনুপ্রেরণার নাম জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যুবলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন-এই নির্বাচনের সময় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকার পক্ষে কাজ করে যাবে। নৌকার বিরুদ্ধে কোন বিদ্রোহী প্রার্থীকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না এবং তাদেরকে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত এই কড়াইল বস্তিবাসী বিএনপি-জামাতের নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তারা বস্তিবাসীকে জিম্মি করে মাদকের আস্তানা গড়ে তুলেছিল। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার অত্যন্ত প্রিয় এই বস্তিবাসীর ওপর যদি কোন আঘাত আসে তাহলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। তিনি যুবসমাজকে উদ্দেশ্য করে বলেন-এই বস্তিতে মাদক থাকবে না, এই বস্তিতে সন্ত্রাস থাকবে না। মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আর যেন কোন মায়ের সন্তান মাদক নেশায় ধ্বংস হয়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. মামুনুর রশীদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃণাল কান্তি জোয়ার্দার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. বদিউল আলম, রফিকুল আলম সৈকত জোয়ারদার, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, মশিউর রহমান চপল, এড. মোঃ শামীম আল সাইফুল সোহাগসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ।