মালয়েশিয়ায় করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ অব্যাহত থাকায় আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত রিকভারি মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডারের (আরএমসিও) মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ জানুয়ারি) দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি বিন ইয়াকুব কোভিড-১৯-এর নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রকোপ বাড়তে থাকায় লকডাউনের বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়েছে। সংক্রমণরোধে শর্ত সাপেক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ী ৩১ মার্চ পর্যন্ত আরএমসিও’র সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
গেল বছরের ১০ জুন জারি করা আরএমসি‘র মেয়াদ শেষ হয় গত ৩১ ডিসেম্বর।
তবে, কুয়ালালামপুর, সেলাঙ্গর, সাবাহ এবং অন্যান্য রাজ্যের জেলাগুলো, সেরেম্বান, জহুর বারু, বাতু পাহাত, কুলাই এবং পুলাও পিনাং রাজ্যের মুকিম ১২ (বারাত দায়া) ও মুকিম ১৩ (তিমুর লাউত) ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত কন্ডিশনাল মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (সিএমসিও) বহাল থাকবে।
উল্লেখ্য, দেশটির সেলাঙ্গর প্রদেশে গত দুই সপ্তাহে প্রায় ৩৪ হাজার জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। তারমধ্যে সেলাঙ্গরের আরও ৯টি জেলায় ৮ হাজার ১৯৪ জন শনাক্ত হওয়ায় এ জেলাগুলোকে রেডজোন ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। একইসঙ্গে কুয়ালালামপুরে নতুন ক্লাস্টারের সংখ্যাও দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানায় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এছাড়া বিদেশি কর্মীদের করোনা ভাইরাস টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে মালয়েশিয়া সরকার। এ বিষয়ে কড়া নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
১ জানুয়ারি থেকে যেসব নিয়োগকর্তা তাদের বিদেশি কর্মীদের কোভিড ১৯ পরীক্ষার জন্য পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদের প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল অফ ইনফেকশাস ডিজিজ অ্যাক্ট ১৯৮৮ এর অধীনে শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
এদিকে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭০৪ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১৯ হাজার ৭৭ জন। এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৪৯৪ জন।
সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৯৭ হাজার ২১৮ জন। তবে দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে কোনো বাংলাদেশি মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।