ভাসানচরকে ‘অনুকূল এবং নিরাপদ’ হিসেবে অভিহিত করে কক্সবাজার থেকে কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তরিত করার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে ওমান।
ওমান দূতাবাসের মিশন প্রধান তাইবসেলিম আবদুল্লাহ আল আলাউই সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গিয়ে এ কথা জানান।
তিনি কক্সবাজারে ১৬ হাজার অস্থায়ী ঘর নির্মাণ কাজ তদারকির জন্য সেখানে বেশ কয়েকবার সফরের কথা উল্লেখ করেন।
শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এ কূটনীতিক মনে করছেন যে ভাসানচরের জীবনযাত্রা বাংলাদেশের গ্রামীণ অনেক অঞ্চলের চেয়েও আপাতদৃষ্টিতে উন্নত হবে।
জীববৈচিত্রের ক্ষতি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও কক্সবাজারে ১১ লাখের বেশি নির্যাতিত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন ওমানের মিশন প্রধান।
কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টের জন্য পারস্পরিক ভিসা ছাড়ের বিষয়ে খসড়া চুক্তির প্রক্রিয়ায় অগ্রগতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। চুক্তিটি স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি জানান, ওমান পরস্পরের সুবিধাজনক সময়ে চুক্তিটি সই করার জন্য নিজেদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার-সেক্রেটারিকে দায়িত্ব দিয়েছে।
মিশন প্রধানকে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনের সফল সমাপ্তির জন্য অভিনন্দন জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন প্রায় ৭ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীর প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য ওমান সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং মহামারি চলাকালীন প্রবাসী কর্মীদের কাজের সুরক্ষা নিশ্চিত করাতে ওমান সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ওমানের সহায়তারও গভীর প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।