স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঢাকা সফরে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এ সফরে তিস্তাসহ দুই দেশের অভিন্ন ৬ নদীর পানিবণ্টন নিয়ে সুসংবাদ আসতে পারে।
শনিবার (২ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর থেকেই কানেকটিভিটি, বিদ্যুৎ-জ্বালানি, যোগাযোগ, তিস্তা নদীর পানিবণ্টন, স্থল সীমান্তের অমীমাংসিত বিষয়, অন্য নদীর পানিবণ্টন, সীমান্ত হত্যা ও সীমান্ত সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যার বিষয় নিয়ে আলোচনার অগ্রগতি হচ্ছে।
আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশে আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ১৭ ডিসেম্বর দুই প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল সম্মেলনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যৌথ অনুষ্ঠান করার বিষয়ও চূড়ান্ত হয়। সেই দিনই দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আলোচনায় তিস্তার বিষয়টি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বলা হয়, তিস্তার বিষয়ে আলোচনা চুড়ান্ত হয়ে আছে। এ ছাড়া ভারত অভিন্ন অন্য নদীগুলোর বিষয়েও নিষ্পত্তি চায়।
নয়াদিল্লি-ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্রের তথ্য, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উপহার হতে পারে তিস্তার পানিবণ্টনসহ অভিন্ন ৬ নদীর মীমাংসা। এ সপ্তাহেই যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক হবে এবং অভিন্ন ৬ নদীর পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে দুই দেশের এসব অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনার জন্য বেশ কয়েকটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেই কর্মকর্তা জানান, দুই দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠকের কথা রয়েছে। ২৬ মার্চ নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ মাসের শেষ সপ্তাহে ভারত সফরে যাচ্ছেন। পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের বিষয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের বৈঠক, ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের ভার্চুয়াল সম্মেলনের বিষয়বস্তু নিয়েই বৈঠকের এজেন্ডা ঠিক করা হবে। ২৬ মার্চে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক থেকে ভালো কিছু হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই কাজ হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।