যুক্তরাজ্যে দীর্ঘদিন পর স্যানিটারি পণ্যের ওপর থেকে ট্যাক্স বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর এতে বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে “ট্যাম্পন ট্যাক্স” নামে পরিচিত স্যানিটারি পণ্যের উপর ৫% ভ্যাট। আজ শুক্রবার (১ জানুয়ারি) থেকেই আসছে এ পরিবর্তন।
দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে স্যানিটারি পণ্যের থেকে কর বাতিলের দাবিতে সোচ্চার আন্দোলনকারীরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। একে তারা বলছেন, “লিঙ্গবৈষম্যের একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি।” ছবি: দ্য গার্ডিয়ান
দেশটির অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক মার্চের বাজেটে স্যানিটারি পণ্যের উপর ধার্য কর বাতিলের প্রতিশ্রুতি দেন।
২৭ বছর বয়সী মিস কোরিটন, যিনি ২১ বছর বয়সে ট্যাম্পন ট্যাক্স বন্ধ করার জন্য প্রচারণা শুরু করেন, তিনি বিবিসিকে বলেন, “এ পদক্ষেপ নারীদের সম্পর্কে সমাজে বিদ্যমান নেতিবাচক বার্তাকে বাতিল করেছে।”
এর আগে ২০২০ সালের নভেম্বরে স্কটল্যান্ড পৃথিবীর প্রথম দেশ হিসেবে স্যানিটারি পণ্য বিনামূল্যে বিতরণের পদক্ষেপ গ্রহণ নেয়।
নারী অধিকার দাতব্য সংস্থা দ্যা ফসেট সোসাইটির প্রধান নির্বাহী ফেলিসিয়া উইলো বলেন, “এই পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য একটি দীর্ঘপথ অতিক্রম করতে হয়েছে, এতোদিন যে স্যানিটারি পণ্যকে অপ্রয়োজনীয়, বিলাসবহুল সামগ্রী হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছিল, অবশেষে তা ইতিহাসের বইয়ের পাতায় লিপিববদ্ধ করা যেতে পারে।”
এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে দরিদ্র নারীরা, বিশেষ করে ইতিমধ্যেই মহামারীর প্রকোপে যাদের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে গেছে।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে মিস কোরিটন ও তার বোন জুলিয়া ‘সেক্স এডুকেশন ম্যাটারস’ নামে একটি সামাজিক উদ্যোগ শুরু করেছেন।
তারা যুক্তরাজ্যের ১৫০ জন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর উপর অনলাইনে একটি জরিপ করে দেখেন, অংশগ্রহণ করা শতভাগ অংশগ্রহণকারীই বলেছেন যে, এখনো তাদের আশেপাশের পরিবেশে ঋতুস্রাব নিয়ে অসচেতেনতা এবং কুসংস্কার রয়ে গেছে।
মিস কোরিটন জোর দিয়ে বলেন, “যদি ঋতুস্রাবের সাথে কুসংস্কার জড়িয়ে রাখা হয়, তাতে আপনার স্যানিটারি পণ্যের প্রয়োজন হলে তা নিয়ে কথা বলার সম্ভাবনা কম, অথবা বিনামূল্যে স্যানিটারি পণ্য পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলার সম্ভাবনা কম।”
সূত্র: বিবিসি